আফ্রিকান বংশদ্ভূত মার্কিন নাগরিক
ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র;
ছিলেন ক্রীতদাসের বংশধর!


তিনি ক্যাসিয়াস ক্লে বলে পরিচিত হতে চাননি,
তিনি দাসত্বের শৃঙ্খলকে ভাঙতে চেয়েছিলেন,
তিনি ছিলেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী!
একদিকে দারিদ্র আর একদিকে
বর্ণবাদের নিষ্পেষণ!


“দ্য গ্রেটেষ্ট” আলী ছিলেন অনন্য;
ক্রীড়াশৈলীতে বিখ্যাত।
তার দু’টি পায়ে ছিল কাব্যের ছন্দ
দু’টি বজ্র মুষ্টি ফুটাতো মৌমাছির হুল।
তিনি ছিলেন স্পোর্টসম্যান অব দ্য সেঞ্চুরি,
ছিলেন নাগরিক অধিকারকর্মী এবং কবি।


বলেছিলেন,“কুমিরের সাথে কুস্তি লড়েছি।
তিমির সাথে করেছি ধস্তাধস্তি,
পাহাড়কে খুন করে আহত করেছি পাথরকে,
ইটকেও পাঠিয়েছি হাসপাতাল।
আমি এমনই ভয়ঙ্কর যে,
ওষুধকেও করে ফেলি অসুস্থ ।”


বলেছিলেন,“চ্যাম্পিয়নরা জিমে তৈরি হয় না।
যাদের অন্তরের গভীরতম অংশে রয়েছে স্বপ্ন,
দূরদৃষ্টি ও সফল হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা,
একমাত্র তারাই চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।”
তার ফুটওয়ার্কে ছিল বাটারফ্লাইয়ের ক্ষিপ্রতা,
মনে হতো প্রজাপতি উড়ছে যেন রিং জুড়ে!
তিনি ছিলেন তিনবারের হেভিওয়েট
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মুষ্টিযোদ্ধা!


মানবতার তরে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ;
ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধে যাননি বলে
নির্যাতিত হয়ে হয়েছিলেন দন্ডপ্রাপ্ত!
তিনি ছিলেন “শান্তির দূত”
দীক্ষিত হয়েছিলেন ইসলামে।


এসেছিলেন সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে;
নাগরিকত্ব পেয়ে বলেছিলেন,
“বর্ণবাদীরা তাড়িয়ে দিলে ঘর বাঁধবেন
বাংলাদেশকে স্বর্গ রাজ্য বলে ভালবেসে!”


তিনি ছিলেন প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী;
তাইতো বলেছিলেন, “সবাই তাকে মনে রাখবে
এমন একজন মানুষ রূপে,
যে কখনও বিক্রি করেনি তার আত্মাকে!”


তিনি আর নেই আমাদের মাঝে!
বক্সিং এর কিংবদন্তি বিদায় নিলেন
পৃথিবী থেকে সবাইকে কাঁদিয়ে!
আজন্ম দ্রোহী মোহাম্মদ আলী আর
আসবেন না তার “সেকেন্ড হোমে!”


আলী আলী বলে সহস্র কন্ঠে উচ্চারিত হবে না
বাংলাদেশের জাতীয় ষ্টেডিয়ামে!
বিদায় বন্ধু! তোমাকে বিদায়!
শান্তিতে থাক আত্মা তোমার
ইনশা আল্লাহ্ দেখা হবে ঐপারে।