এ মহৎ রাতেই জারি হলো পাঁচওয়াক্ত সালাতের বিধান;
অতঃপর দেখানো হলো নবীকে জান্নাত ও রুদ্র জাহান্নাম,
জান্নাতে তৈরী মুক্তোর তাবু, কস্তুরির মাটি নয়নাভিরাম
যা স্বপ্নকেও হার মানায়, সুশীতল শান্তি, অফুরন্ত আরাম।


আর জাহান্নাম! অবিরাম শাস্তিতে অপরাধীরা পেরেশান;
একদল মানুষ, যারা এতিমের সম্পদ করেছিল আত্মসাৎ,
গরম কয়লা ভক্ষণ করে তারা পায়ুপথে করছিল ত্যাগ!
বললেন জীব্রাঈল(আঃ), সত্যি ঘটনাবহুল ছিল এ রাত।


অনেক মানুষের নখ ছিল তামার তৈরী, পাপ ছিল গীবত;
নিজের দেহে নিজেরাই ধারালো সে নখে কাটছিল আঁচড়!
সুস্বাদু মাংস থাকা সত্বেও খাচ্ছিল যারা পঁচা-বাসী মাংস
শয়তান ভর করেছিলো পরকীয়ার আদলে তাদের উপর!


পেট ছিল যাদের বড়, সুদ থেকে আয় ছিল যাদের পেশা
উঠে দাঁড়াতে পারছিল না তারা নিজেদের পেটের ভারে!
তাদের উপরে চলছিল এমনই শাস্তি, যা ছিল বর্ণনাতীত
অজস্র পশুর দল পিষে পিষে যাচ্ছিল নির্মম ভাবে তারে।


দাজ্জালের একটি চোখ নষ্ট! তিনি দেখেছিলেন সেই রাতে;
শেষে ফিরেন মসজিদুল আকসায় “রফরফ” স্বর্গীয় যানে,
“রফরফ” রেখে চড়ে বসেন বোরাকে মক্কায় আসার তরে
পথিমধ্যে আরো এক ঘটনা ছেড়ে এলেন, রহস্যের প্লাবনে!


চলবে----