জীব্রাঈল(আঃ) আকারে এত প্রকান্ড ছিলেন যে,
তাঁর বিশাল অবয়বে গোটা প্রান্তরই ঢেকে যায়!
আহ! তাঁর সারাদেহ জুড়ে আছে ছয়শ’টি ডানা,
যার পালক থেকে ঝরে মনি মুক্তা, কি বিস্ময়!


আল্লাহ্তা’লার এই বৃহত্তর পবিত্র সম্মানিত সৃষ্টি,
হয়তো মহাকাশের গ্রহগুলো থেকেও বড় আকার!
যাঁর শক্তি এবং ক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করা যায়,
আল্লাহ্’র এমন বান্দা খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর!


আল্লাহ্’র এই মহান সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে নবীজী
একটি আশ্চর্য দৃশ্য দেখলেন সিদরাতুল মুনতাহায়,
জীব্রাঈল(আঃ) যেন ম্রিয়মাণ হয়ে গেলেন শ্রদ্ধায়!
আল্লাহ্’র মাহাত্মের কাছে ভক্তিতে হলেন অসহায়!


এই আল্লাহ্’র সামনে আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজে দাঁড়িযে কত বার যে আনমনা হয়ে যাই!
তারপরও আল্লাহ্ হন না রাগান্বিত অথবা নাখোশ;
আমাদের গাফিলতিগুলোর জন্য সর্বদাই ক্ষমা পাই!


জীব্রীল(আঃ)কে সে অবস্থায় রেখে এবার নবীজী
সিদরাতুল মুনতাহা থেকেও উপরে উঠতে লাগলেন,
এবং নবীজী (সাঃ)পৌঁছে গেলেন এতটাই উচ্চতায়;
যেখানে কেউ কখনও যায় নাই, তিনি পৌঁছলেন!


চলবে-----


(শাইখ ডঃ ইয়াসির ক্কাদির সাহেবের বক্তব্য অবলম্বনে।)