আবু জেহেল ভাবলো, তাঁর এই বিস্ময়কর যাত্রার কথা
শুনে মানুষ তাঁকে নিয়ে হাসি-তামাশা শুরু করে দিবে,
তাই, সে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব লোক জড়ো করলো
নবীজী ভাবলেন, শুধু ইসরার অংশ বলাই ভালো হবে।


ইসরার অংশ, অর্থাৎ, শুধু মসজিদুল-আকসায় যা্ওয়ার
কথাটাই বলবেন, মেরাজে যা্ওয়া-আসার কথাগুলো নয়;
পরে নবীজী মুসলিমদের সমস্ত ঘটনার কথাই বলেছিলেন,
একরাতে এতো পথ পাড়ি দেবার কথায় সবে ক্ষুব্ধ হয়।


নবীজীর এমন সব কথা শুনে বিশৃংখলা শুরু হয়ে গেল!
অবশেষে জনৈকের কথায় সবাই আস্বস্ত হয়ে নীরব হলো;
তার প্রশ্ন, তুমিকি মসজিদুল-আকসার বর্ণনা দিতে পারবে?
সবে এবার নবীজীর দিকে কৌতুহলী হয়ে তাকিয়ে রইল।


কারণ, ওরা জানতো, তিনি কখনো সেই খানে যান নাই;
নবীজী উদ্বিগ্ন হলেন, দ্রুতযানে গিয়েছিলেন রাতের বেলায়,
এমতাবস্থায় কারো পক্ষেই সবকিছু স্মরণে রাখা সম্ভব নয়
এবার হয়তো কেউ করবে না বিশ্বাস, জাগলো মনে ভয়।


তৎক্ষণাৎ ঘটলো দারুন এক অভাবনীয়-অলৌকিক ঘটনা;
সমবেতদের পিছন দিয়ে ভেসে উঠলো আল-আকসার দৃশ্য,
যেন আজকের থ্রীডি হলোগ্রাম! যা রইল সবার অগোচরে!
অবাক বিস্ময়ে দেখলো মহাবিশ্ব, আল্লাহ্’র নবী নন নিঃস্ব।


চলবে----