দু’ পাত্রে সংরক্ষিত ছিল দুধ আর মদ!
বেছে নিন একটি, নবীজীকে জীব্রাঈল বলেন,
ইসলামের আইনে তখনো মদ হয়নি রদ;
নিজের ও উম্মতের তরে দুধই বেছে নিলেন!


অতঃপর ফের, শুরু হলো অভিযান;
তিনি দেখলেন, উন্মুক্ত হয়ে গেল আসমান,
আসমান ভেদ করে শুরু উর্দ্ধারোহন!
শুরু ফেরেস্তার সাথে নবীজীর আবার ভ্রমণ।


গ্রহ, নক্ষত্র দিয়ে সজ্জিত নিম্নতম স্তর!
যার বিস্তৃতি যতদূর পর্যন্ত নক্ষত্র বিরাজমান,
ইসরা ওয়াল মেরাজের যাত্রা বিস্ময়কর
এ ভাবে পর্যায়ক্রমে পার হন সাত আসমান।


প্রতিটি স্তরেই একে একে সাক্ষাৎ পান
আদম, ঈসা ইয়াহইয়া ইউসুফ ইদ্রিস হারুন;
মুসা, অবশেষে পৌঁছান সপ্তম আসমান,
যেখানে ইব্রাহিম(আঃ)নবীকে স্বাগত জানান।


এক পর্যায়ে কিয়ামত নিয়ে কথা হয়;
ঈসা নবী বলেন, তার আগে ফিরবো ধরায়,
আমার হাতে বধ হবে দাজ্জাল সেথায়
মরে যাবে ইয়াজুজ-মাজুজ আমারই দো’য়ায়।


যেহেতু নবী করিম (সা.)–এর মিরাজ রাত্রিকালেই হয়েছিল, তাই এটিকে ইসরা বলা হয়। মিরাজ রজনীকে আরবিতে 'লাইলাতুল মিরাজ' এবং 'লাইলাতুল ইসরা' বলা হয়; যা এতদঞ্চলে 'শবে মিরাজ' নামে পরিচিত।


চলবে----


(শাইখ ডঃ ইয়াসির ক্কাদির সাহেবের বক্তব্য অবলম্বনে।)