এ এমন এক মহিমান্বিত রজনী
যে রাতে অবতীর্ন হয় আল-কোরআন;
প্রেরীত আসমানী কিতাব সমুহের নির্যাস।
যে রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম, কল্যাণময়,
যার সাথে জড়িয়ে আছে মানুষের ভাগ্য, জয়-পরাজয়।


রমযান মাসটাই হলো সেই মাস,
যে মাসে অবতীর্ন হয় আল-কোরআন;
রহস্যময় হলেও সত্য, রাতটি সুনির্দিষ্ট নয়,
নবীজী’র ভাষ্য, শেষ দশকের বিজোড় রজনীতে
কষ্ট করে খোঁজ যদি তারে, তবে তুমি পাবে নিশ্চয়।


এই সেই প্রতিশ্রুত সুবর্ণ রাত;
যে রাতে ফেরেস্তা আসে আরশ ছেড়ে,
তার তরে দো’য়া করে, যে থাকে মশগুল
সারাটি রাত ভরে মহান স্রষ্টার গভীর ইবাদতে,
যে রজনীটা নিরাপদ শান্তিময়; আপ্রত্যুস অরুনোদয়।


এ রাত মহাদামী এতই মহান,
যে রাতে প্রকাশ পায় খোদার অবদান
যে রাত কোরআন নাজিলের তরে মর্যাদাবান,
যে কোরআন দেখিয়ে দেয় জগদ্বাসীকে সত্য সঠিক পথ;
হক আর বাতিল মাঝে যে কোরআন শক্ত দেয়াল গড়ে দেয়।


সেই তো অবশেষে পুরুস্কৃত হবে
যে শয্যায় করে না শয়ন ইবাদত তরে,
অফুরন্ত রহমতের আশায় আর গজবের ভয়ে।
যে অকাতরে দান করে মহান প্রভূর নেয়ামত হতে,
যা কিছু গোপন রেখেছেন খোদা ধরণীর বুকে নিজ ইচ্ছায়।


চাও যদি অফুরন্ত সুখের সোপান
মেহনত করে খুঁজে নাও আছে যা গোপন,
বিনিদ্র রজনী ভরে সন্ধান কর সেই সম্মানিত রাত-
যে রাতে হৃদয় সিক্ত হবে, অদৃশ্য মোলাকাতে পরমাত্মার,
এই সেই মহিমান্বিত রাত, যে রাতে সিদ্ধান্ত হবে মহাবিজ্ঞানময়।



(বিঃদ্রঃ- কবিতায় আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য স্থান পায় নাই ।
সম্পূর্ন কথামালা এসেছে সূরা-আল কদর, সূরা-আল বাকারা,
সূরা-দুখান, সূরা-সিজদা এবং আল হাদিস থেকে ।
ভুল হলে দয়া করে সংশোধন করে দিবেন এবং ক্ষমা করবেন ।)