রজনী গভীর, নিঃশব্দ চারিদিক
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নির্ভীক ক’জন পথিক!
মাঝে মাঝে নিশিজাগা শৃগালের হাঁকডাক
আম্বিয়া শহানারা গুলির শব্দে হতবাক,
মনের গহিনে আজও স্বপ্নের ঘোর
স্বপ্নের মিছিল পেরিয়ে নিশি করে ভোর।
বিড়ালের মত নিঃশব্দে কুয়াশায় ভেজা পথ,
রাতের আঁধারে ভেঙ্গে করে খান খান;
সুদৃঢ় পদক্ষেপে নির্ভীক বাজিকরে
মুক্তির নেশায় ক্লান্তিহীন ক’টি উৎসর্গীত প্রাণ।
জোনাক পোকারা জ্বলে ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডেকে চলে
নিশ্ছিদ্র গভীর অন্ধকার মেঠো পথে, জলে-স্থলে
হৃদয়ে রক্ত ঝরে, চোখের তারায় জ্বলে
নিদারুন কষ্টের ক্ষোভের আগুন!
বিপদে প্রমাদ গোনে নিরন্ন জনগণে
হানাদার হানা দেয় যখন-তখন!
কিশোরী-তরুণী কাঁদে যুবতীরা ভয়ে কাঁপে
চারিদিকে পদে পদে বিপদের গন্ধ!
নিরস্ত্র জনপদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে
কখন যে কার সাথে কার হয় দ্বন্দ্ব!
মুক্তির অভিযানে মুক্তি সেনানী চলে
জননী জন্মভূমি করতে বিজয়,
নিশীথের শেষ ভাগে শত্রু বক্ষ ভেদে
বুলেট-গ্রেনেড হেনে হেসে ওঠে বীরের হৃদয়,
শত্রু নিধন হ’লো, নয় মাসে ঝড় হ’লো শেষ,
সবুজ জমিনে এলো রক্তিম সূর্যের বাংলাদেশ ।