একই মায়ের সন্তান!
তাই, ভুলি নাই আজও তাঁকে।
উনিশ’শ পঁয়ষট্টিতে পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে
প্রশিক্ষণ পাওয়া একজন ক্যডেট।
  
একাত্তরের শুরুতেই যুদ্ধ করেছেন
পুরাতন টেলিফোন এক্সচেঞ্জের যুদ্ধে।
সাবেক পৌর প্রশাসক(অবঃ)ক্যাপ্টেন জায়েদীর
স্ত্রীর হাত থেকে নেয়া দো’নালা বব্দুক দিয়ে।
মহিলা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সক্রিয়
নেতার মেয়ে এবং পরবর্তীকালে অপঘাতে নিহত
(তাঁর অবস্থান হোক জান্নাতুল ফেরদৌসে।)
একজন জনপ্রতিনিধির সহোদর বোন।


রে নরাধম!
না হয় পঞ্চাশ বছর বেশি বেঁচে গেলি!
কিন্তু, কি নিয়ে গেলি, কি রেখে গেলি
আর কি করে গেলি, অবনী সবই জানে ।
ছিলি চারু মজুমদারের নিন্দিত অনুসারী!
জান বাঁচাতে পালিয়ে গিয়ে ফিরে এসে
পরিচয় দিলি মুক্তিযোদ্ধা নিউক্লিয়াস সদস্যকে পটিয়ে!
পুরোনো স্বভাবের ধারাবাহিকতায় কলেজ
নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করলি নির্মমভাবে
সাথে নিয়ে স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের!
অতঃপর বিশ্ববেহায়ার আত্মীয় সুবাদে হয়েছিলি সাংসদ!


কিন্তু, আমার সহোদরের পিতা-মাতা ছাড়া
ছিল না আর কোন পিছুটান।
দো’য়া করি প্রায়ই তাঁর আত্মার শান্তির তরে।
তখন ভারতে প্রশিক্ষণ শেষ করেছি মাত্র-
ফিরে আসার পথে শুনলাম সবই!
জোড়ালো প্রতিবাদের মুখে ওরা বাবার
হাতে তুলে দিল শহীদ সার্টিফিকেট আর
আড়াই হাজার টাকার চেক্!


মনে বড় আশা ছিল, আমার জীবদ্দশায়
তোদের মৃত্যুর সংবাদ শুনবো বলে।
সত্যি! আমার যাবার আগেই মায়ের চোখের জলে
সদলবলে ভেসে গেলি জাহান্নামে।
গতকালই শুনলাম, তৃতীয় জনের মৃত্যু সংবাদ।
তোদের পরিণতি দেখলাম, সাধ জাগে
তোদের বিচার দেখবো হাশরের ময়দানে।
কারণ, আগেই বিচার দিয়ে রেখেছি আল্লাহ্’র দরবারে।