কবিতার সংজ্ঞা জানি না;
কি যে লিখি, নিজেই বুঝি না!
অনেকেই-অনেক বিরুপ মন্তব্যও করেন।
পণ করেছি, জবাব দিব না,
জবাব যা দেবার, সময় তো দিচ্ছেই।


আজ সে কথা নয়;
ছাব্বিশে মার্চ, অন্তরের অন্তঃস্থলে
চির ভাস্বর সে দিনের কথা বলি।
করোনার মৃত্যু আতঙ্ক ছড়ায়!
আর সে দিনের মৃত্যুর আকাঙ্খা ছিল
জীবন উৎসর্গের মহোৎসব!


আজকের প্রেক্ষাপটে এ প্রজন্মকে
সেটা বিশ্বাস করানো বড়ই কষ্টকর!
সবে শৈশব থেকে কৈশোরে এসেছি,
রক্তের হোলি খেলার মাঝেই চলছে
মুক্তির তরে জীবন বাজি রাখার অঙ্গীকার!


মনে পড়ে, এ দিনেই ফৈমদ্দিন হায়দার
আর তার পরের দিনেই ক্যাপ্টেন জায়েদীর
বাড়ি খেকে দু’টি হাতিয়ার দলবেঁধে উদ্ধার!
এই আমি এডওয়ার্ড কলেজ জিমনেসিয়ামের
সেই বাড়ন্তদেহী জুনিয়র বক্সার।


সেই তেজোদীপ্ত পিচ্চিই ছুটে গিয়েছিল
বিবিসি বাজার হয়ে, রায়টা হয়ে জলঙ্গী!
অতঃপর কেচুয়াডাঙ্গার ট্র্যানজিট ক্যাম্প!
মালদহের গৌড়বাগান হয়ে শিলিগুড়ির
পানিঘাটা বাজার সংলগ্ন ট্রেনিং ক্যাম্প!


ফিরে আসি তরঙ্গপুর অপারেশন ক্যাম্প
হয়ে আবারো জলঙ্গী অপারেশন ক্যাম্প!
চকচকে হাতিয়ারে সজ্জিত লড়াকু সৈনিক!
স্বাধীনতার অদম্য নেশায় ফিরে আসি
মৃত্যুকে সঙ্গী করে প্রিয় জন্মভূমিতে।


অথচ, সেই আমরাই আজ মৃত্যুভয়ে
লকডাউন বাংলাদেশে হয়ে গেছি গৃহবন্দী!
এ অনুভূতি অনেক-অনেক কষ্টের!
অদৃশ্য শত্রুর সাথে এক অসম যুদ্ধ!
হৃদয়ে প্রশ্ন জাগে, এরা সৈনিক কার?