জোছনাকে শুষে নিতে কাটাই নির্ঘুম রাত
স্বাগত ঊষা, পেতে সোনালি প্রভাত;
পোয়াতি ধানের শীষ আলপথে করে মাত্
অতঃপর হারিয়ে যাই ঘন কুয়াশায়!


শিস দিয়ে ডেকে যায় রাত জাগা পাখি
রঙিন স্বপ্নে তার ভরা দু’টি আঁখি
কত ভালোবাসা তার সারা গায়ে মাখি
অতঃপর ডুব দেই সুখের মোহনায়!


সুখের প্রত্যাশায় বালুচরে বাঁধি খেলাঘর
মনে জাগে আশঙ্কা, উঠে যদি ঝড়
তবু প্রেম দিয়ে আগলে রাখি দীর্ঘ প্রহর
অতঃপর কেটে যায় মরিবার ভয়!


নীরবতা ভাঙ্গিয়া করি রজনীতে খুনসুটি
সময় এগিয়ে যায় মৃদু পায়ে হাঁটি;
হৃদয় তৃপ্ত করে সুগন্ধা প্রণয়িনী দোপাটি
অতঃপর স্বপ্নে মগ্ন হই দু’জনায়!


কখন বয়ে গেছে অতীতের সকাল-দুপুর
প্রবীণার পায়ে আর বাজে না নূপুর;
পড়ন্ত বিকেলে হাতড়াই খেয়াতরী কতদূর
অতঃপর হারিয়ে যাই দূর অজানায়!