অনিকেতের তর্জনীর স্পর্শে খসে পরে
চশমা জোড়া মন্দিরার কাজল কাল চোখ থেকে;
পরম যত্নে, মমতার পরশ দিয়ে মুছে নেয় অনিকেত,
পরিয়ে দেয় মন্দিরার বংশী নাকের নরম ডগায়
অস্ফুট স্বরে বেড়িয়ে আসে মন্দিরার সুরেলা কন্ঠে,
আহ! করছো কি অনিকেত! দেখছে সবে!


আমিও তো তাই চাই, দেখুক জগৎবাসী দু’চোখ ভরে।
ধৈর্যের বাঁধ আমার ভেঙ্গে গেছে বহুদিন আগে,
মনে হয় কত যুগ, কত হাজার বছর ধরে
রবির রস্মি থেকে আগলে রেখেছি তোকে,
সমস্ত দেহ থেকে ঝরেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম সিন্ধু হয়ে
লক্ষ কোটি কামাতুর আঁখীর পলক পড়েছে আমার চোখে!
তবু তোকে রেখেছি আঁচড়হীন ফুলের মত করে।
সময়ের পরতে পরতে জমে গেছে খাদহীন ভালবাসা হৃদয় জুড়ে!


অবাক বিস্ময়ে নির্বাক মন্দিরা অনিকেতের স্বপ্নগুলো
পড়তে থাকে অন্তরের চক্ষু দিয়ে,
ওর প্রত্যাশার স্বরূপ দেখে আহত হয় অন্তরালে;
রঙিন চশমায় ঢেকে রাখে অকৃতজ্ঞ চোখ জোড়া নিঃসঙ্কোচে!
অনিকেত আমি দুঃখিত, তোমার ভালবাসায় সিক্ত নয় এ হৃদয়;
তোমার ভুলের মাশুল তোমাকেই দিতে হবে রঙ্গশালে।


দুঃখ করো না প্রিয়া, মনের কাঁটাগুলো আগেই করেছি উজাড়;
তোমাকে বসাবো আমি রানী করে হৃদয়ের পদ্মাসনে।
তাই তো কাঁটার আঘাত তোমায় করবে না জর্জরিত,
যদিও হৃদয় আমার হবে শত ছিন্ন; ক্ষত-বিক্ষত,  
অবশেষে প্রেমহীন নিশ্চল পাথরের মত!
আজ হতে তুমি হলে মুক্ত;
আমার ভালবাসা হোক পরাজিত!