অপ্রশস্ত সেই দূর্গম পথেই যদি চলতে হবে
তবে রক্তের সাগর পাড়ি দেওয়া কেন?
অভূক্ত শীর্ণকায় জীবাস্মের মত
স্বদেশীর সাথে দীর্ঘ তিমির-রাত্রি ডিঙ্গানো কেন?
জ্যোতির্ময় নতুন প্রভাতের অপেক্ষায়
বিনিদ্র রজনীর কঠিন প্রহরগুলো ব্যয়;
উজানের পথে তবে বৈঠা হানা কেন?
শিকল ভাঙ্গার গান আবার যদি লিখতেই হবে
তবে কলম ছেড়ে হাতিয়ার ধরে
মাটির গহীনে মিশে যাওয়া কেন?
নির্ভীক সেই মানুষগুলোর পানে চেয়ে থাকা
গিদরের পাল আজ হুঙ্কার দিয়ে
পেশীর কাঠিন্য প্রকাশ করে
নির্লজ্জ নোংরা প্রাণীর মত!
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের ব্যথার দান
অঞ্জলী ভরে নিয়েও কেমন ঘুনে ধরা
পাটাতনের কাঠের মত ছুঁড়ে দিয়ে
এ প্রজন্মের শাবকেরা করে দেয় ক্ষত-বিক্ষত!
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী হয়েও
জ্বালানী শূন্য নিষ্প্রভ নক্ষত্রের মত
পথের ধুলায় অনাদরে লুটায় অবিরত!