বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য কবি, যিনি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃতও হয়েছেন, তিনি বর্তমানে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সরকারী কলেজে অধ্যাপনা করতেন, পাশাপাশি সাহিত্য চর্চ্চায় ও এমন ভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন যে শেষ পর্যন্ত একের পর এক কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ করতে গিয়ে সংসারের প্রতি দারুন ভাবে উদাসীন হয়ে পড়েন। এমন কি কবিতা রচনা এবং কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ করার ব্যপারে তাকে নেশাগ্রস্তের মত মনে হতো। শুধু তাই নয়, তিনি বই প্রকাশ করার অর্থ সংগ্রহ করার জন্য এমন কিছু বিকল্প  পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন যেটা বলা ও কষ্টের কাজ। ফলে তাঁর স্ত্রী এক সময় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমরা বিপদে পড়লে কেউ আমাদের.......দেবেনা। তিনি পরিবার নিয়ে একটা মফস্বল শহরের শহরতলীর পৈত্রিক ভিটাতেই জীবন পার করে দিলেন,অথচ ইচ্ছা করলে তিনি শহরে অনায়াসেই বাড়ী করতে পারতেন। তা তো করেনই নাই উপরন্তু কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ করার জন্য স্ত্রী'র গহণা পর্যন্ত বিক্রী করে দিয়েছেন। সেই কারণেই অত্র এলাকায় এমন কথা পর্যন্ত চালু হয়েছে যে, "কবিরা সম্ভবতঃ পাগলই হয়।" আমার এমন প্রসঙ্গের অবতারনা করার উদ্দশ্য হচ্ছে, আমরা যেন সাহিত্য চর্চ্চা করতে গিয়ে এরকম আসক্তির পর্যায়ে চলে না যাই বা এ রকম দৃষ্টান্ত যেন স্থাপন না করি। আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই স্যারের নাম টা তাঁর সম্মান রক্ষার্থে এখানে উল্লেখ করলাম না। আমরা প্রায় সবাই তাঁর কবিতা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় পড়েছি। আসুন আমরা সবাই তাঁর রোগ মুক্তির জন্য পরম প্রভূর কাছে প্রার্থণা করি।