সমাজ বিনির্মানের শুধু কারিগরই নয়, কবি আশা জাগায়, স্বপ্ন দেখায়, ভালবাসার রঙধনু নিয়ে প্রেম নিবেদনে এগিয়ে যায় মধু চন্দ্রিমার ছন্দ এঁকে এঁকে। রুদ্র সংকটে  ও সেই তো সমাজ স্থপতির মত গন্তব্যের নকশা এঁকে পথের দিশা জানায়, বর্গীদের সামনে বুক চিতিয়ে প্রতিরোধের ভাষায় আগুন ঝরা বারুদের মত কবিতার স্ফুলিঙ্গ হানে, "ঝাঁকরা চুলের বাবরী দোলানো সাহসী যুবকের মত," সেই তো যোদ্ধা,সেই তো কবি। পিছনে ফেলে আসা মুক্তিযুদ্ধের কবিতা লেখা আর মুক্তিযুদ্ধের উত্তাপে নিজেকে ঝলসানোর স্বাদ অনন্যতর ভিন্নতার দাবী নিয়ে আজ ও উচ্চ শির। বিদগ্ধ মুক্তিসেনা "জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসে পুষ্পের হাসি।" সে আপোষকামী-তোষামোদকারীর মত সুবিধা খরিদের নব্য বণিক নয়। কবি আপোষহীন শুদ্ধি অভিযানের অগ্রনায়ক, অশুদ্ধ কড়ি কুড়ানো , কাগজের জমিনে আত্মম্ভরিতা প্রকাশের শৃগাল শাবক নয়। সেই মুক্তিযোদ্ধা কবির উত্তরসুরীরা ও  কবিতা বানিজ্যের বিণিময়ে আপন স্বার্থের রক্ষিতা নয়। সগৌরবে সব করে জয়।