বাংলা-কবিতায় যখন যোগ দিলাম ভেবেছিলাম বিশেষ করে আলোচনা সভা থেকে অনেক কিছু শেখার বা জানার সুযোগ পাব। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি। আমার ধারণা, এই আসরে এমন অনেকেই আছেন, যারা খুব মেধাবী, ইচ্ছা করলেই তারা শিক্ষনীয় অনেক বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখানেও যেন সেই বানিজ্যিক মানষিকতা, শুধুমাত্র নিজের অবস্খান কে ধরে রাখা বা নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবার একটা সংক্ষিপ্ত প্রচেষ্টা মাত্র। কখন ও কখন ও এমন ও মনে হয়েছে যে, কেউ কেউ যেন হাজিরা খাতায় সই করার জন্যই আলোচনা সভায় প্রবেশ করেন। অবশ্য আমার বাস্তব অবস্থার আলোকে এমন আশঙ্কা ও সৃষ্টি হয়েছে যে,আলোচনা সভাটি বুঝি একটা ধরা খাওয়ার ফাঁদ। সে কারণেও অনেকে হয়তো প্রাণ ভরে বা মন খুলে লিখতে পারছেন না। কখন না জানি লেখাটি ব্যান'র ফাঁদে পড়ে যায় ! কারণ আমরা আমাদের সীমা রেখা সম্পর্কে অজ্ঞ। যে কোন সময় হয়তো কড়কড়ে ইংরেজি ভাষায় বলা হতে পারে, আপনার লেখাটি গল্প কিংবা কবিতা কোনটাই নয়। আরে বাবা ! আলোচনা সভায় গল্প কবিতা লিখতে হবে কেন ! কবিতা লেখার তো নির্দিষ্ট স্থানই রয়েছে। তারপর হয়তো লেখা থাকবে, চেক করুন, দেখা যাবে লেখাটি ব্যান এর তালিকায় লটকে গেছে। আবার কেউ কেউ কবিতা লিখতে গিয়ে বা কোন কিছু আলোচনা করতে গিয়ে সাহিত্যের সীমা অতিক্রম করে যান। আমার এমনটাই মনে হয়েছে যে, সাহিত্য বুঝি সৃষ্টিই হয়েছে জীবনের সুখ-দুঃখের আলোচনাকে, প্রেম-ভালবাসা কে অনন্য  উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা সে কথাটি কখন ও কখন ও বেমালুম ভুলে গিয়ে অশ্লীলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যাই। আমি অনেক সময় খেয়াল করে দেখেছি, আমার মা, বোন কিংবা স্ত্রী ভাত রান্না করার সময় ভাতের পানি উৎলে পড়ে যেতে চেয়েও পড়ে যায় না। সাহিত্য আর অশ্লীলতা হচ্ছে এমনই যে, সাহিত্য, প্রেম-ভালবাসা নিয়ে কবিতা লিখবে, আলোচনা করবে কিন্তু উত্তেজনা এতটা বাড়বে না যে, ভাতের পানির মত উপচে পড়ে যাবে। তাহলেই তা  অশ্লীলতার আঙিনায় পড়ে গিয়ে তার সাথে একাকার হয়ে যাবে। আমি কী আমার সীমা অতিক্রম করলাম ? যদি হয়েই যায় তবে ক্ষমা প্রার্থী ।