দুখের রজনী এলে স্মরি তার মুখখানি
তারই আঁচলে খুঁজি সুখের সোপান,
যার স্মৃতি আজও ভাসে হৃদয়ের চোখ জুড়ে
নিজের দুঃখ ভুলে করেছে যে প্রশান্তি দান ।
নিজের স্বপ্নগুলো ভুলে যেত যেই প্রাণ
ফাগুনেও ভুলে যেত কোকিলের গান,
চৈত্রের রোদ্দুরে আঁচল বিছিয়ে দিত
বিরহেও ভুলে যেত শত অভিমান ।


অভাবে সয়েছে ব্যথা মুখ বুঁজে একা একা
অনুভবে জেগে আছে কত স্মৃতি অবদান,
নিজে না খেয়েও যিনি হাসিয়েছে সন্তান
সেই তো আমার মা সেই তো মহান ।


নিজের রক্ত দিয়ে গড়েছিলে দিনে রাতে
নিজের জঠরে যিনি রচেছিল ভ্রুণের বাগান,
কেন তারে দূরে ঠেলে কেমনে করি অপমান
ক্ষমা নেই ক্ষমা নেই সেটাই খোদার বিধান ।


যে হৃদয়ে ছিল প্রেম ছিল দরদের ভান্ডার
স্নেহের খাজানা যেন, প্রভূর অপূর্ব অনুদান;
সেইতো জননী ভবে, যার পদতলে রয় স্বর্গ,
যে দেহ জুড়ে থাকে স্বর্গীয় মমতার অপূর্ব ঘ্রাণ ।


রমযান মাসে করি তার তরে প্রার্থনা,
খোদা যেন তারে করে জান্নাত দান !