উৎসর্গঃ-মিতুকে


তারপর আর কোন ভোর তোমার
জীবনে সকাল নিয়ে আসেনি!


তেমাকে বিপরীত মেরুর
কোন প্রজাতিই ভেবেছিলাম;
কিন্তু সাথী হারা ব্যথা যে তোমাকে
অশ্রুসিক্ত করতে পারে, কখনও ভাবিনি!


তোমার যে হৃদয় আছে ধারণাও করিনি,
বুঝিনি সেই হৃদয়ের কান্না তোমার চোখেও
শিশুর মত অশ্রু হয়ে ঝরতে পারে!


তোমার সাথী তোমার স্বপ্ন ছিল;
তার মমতা ভরা ভালবাসা তোমাকে
প্রেমের গল্প শোনাতো!


যুগ সাধনার অর্জন দু’টো পাপড়ি
আর কিছু ভালবাসা তোমাকে দিয়ে
রিক্ত হাতে চলে গেল না ফেরার দেশে!
যারা তোমাকে তার ঘ্রাণের আস্বাদ যোগাবে।


তুমি কি কখনো কবি ছিলে?
অথচ তুমি আজ তার প্রেমের সমাধি রচিতে
কি অপূর্ব কাব্যময়তার সুঘ্রাণ ছড়ালে!
আমার ভাবনা তোমার মাঝে সংক্রমিত হলে জেনো,
মানুষ মরে গেলে প্রিয়জন তার সমাধি গড়ে
কিন্তু ভালবাসার কখনো হয় না মরণ।


প্রেমের কখনো হয় না সমাধি;
তার স্পর্শ চোখের আড়াল হলেও আত্মা থাকে
হৃদয়ের কুঠুরিতে আজীবন অমলিন।


তোমার আকুতি পড়েছি, তোমার বুকফাটা
আর্তনাদে আমিও হয়েছি আজ অশ্রুসিক্ত!
ভাল থেক, শিক্ষা নিও ইতিহাস থেকে,
শিক্ষা নিও নিজের জীবন থেকে।


পাপড়ি দু’টিকে সতেজ রাখার চেষ্টা করো
যতদিন বেঁচে থাকো।



বিঃ দ্রঃ- আজ একটা পত্রিকায় মিতুর উদ্দেশ্যে বাবুলের
উক্তিকে কেন্দ্র করে এ কবিতাটি লেখার প্রয়াস ।