আল্লাহ্’র অস্তিত্ব এখন প্রশ্নবিদ্ধ!
তাঁর জন্মের রহস্য আর শক্তির উৎস
নিয়ে কত মুখরোচক আলোচনায়
একটা অন্যরকম তৃপ্তির(!) আবেশ!


অথচ ডারউইনের বিবর্তনবাদে আস্থা
ষোল আনা! অসম্মানজনক হলেও নিঃসঙ্কোচেই
স্বীয়কে মানে ওরা ইতর প্রাণীর বংশধর!
ওদের প্রকৃতি বন্দনার মাত্রাহীন উচ্ছাস!


মুহুর্তে স্বচ্ছ আকাশে মেঘের প্রকাশ!
নেমে আসে ধরণীতলে প্রকৃতির অশ্রু,
অথচ সৃষ্টি করে না মহা প্লাবন!
বরং তৃষ্ণা নিবারনে রাখে অবদান!


পর্বতের মুকুট হয়ে আপনাকে মেলে ধরে
শূন্য থেকে আসা বরফের আস্তরণ;
ঝর্ণা হয়ে বয়ে যায় সাগরের কোলে
প্রাণীর তৃষ্ণা মিটায় মিঠা স্বাদে নিরন্তর।


লোনা জলের আধার কেন রয় নিম্ন ভূমে?
অজস্র মিঠা জল মিশেও কেন তেমনই লোনা?
ভূমিকম্পে অঞ্চলভেদে হয় সুনামী, জলোচ্ছাস;
ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রাণীকুল, সৃষ্টি হয় ত্রাশ!


বিদ্যুতের চমকও ঝলসে দিতে পারে জনপদ;
পঁচিশ ভাগ অরণ্য, বৃক্ষ, তরুলতা মানব
কল্যাণে রাখে অবদান; শতভাগ নয় কেন?
ভারসাম্য হারায় না কেন নির্দিষ্ট কক্ষপথচারী?


বংশ বিস্তারে সৃষ্টি হয়েছে বিপরীত ধর্মী যুগল সত্তা!
নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট নিয়ে এসেছে আঠারো হাজার প্রজাতি!
সব মিলেই তো প্রকৃতি, তবে ভিন্ন ভিন্ন বেশে;
মনে কি হয় না ওরা নিয়ন্ত্রিত? কেন আছে পরিমিতিবোধ?


কেন মনে হয় না একবারও! এই প্রকৃতির উৎস কি?
প্রকৃতির এই পরিমিতিবোধের বৈশিষ্ট কিভাবে হয় ভারসাম্যপূর্ণ?
প্রকৃতির সমন্বয়কের অস্তিত্ব একবারও অনুভব কর না কেন?
আসলে আল্লাহ্’র অভিশাপেই ওরা অনুভূতিহীন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।।