স্বপ্নের খোলস ভেঙ্গে শতাব্দীর ঐশ্বর্যময়
মধুচন্দ্রিমাকে মুক্ত করে এনে
মাখিয়ে দিয়েছি তোমাদের সারা গায়!
এখন তোমরা ভালবাসার কবিতা লেখ;
রংধনুর রঙ দিয়ে বৈশাখের আল্পনা আঁক!
কখনও মৃদুলা মন্দাকিনী খোঁজ ছায়ানট বাঁকে!
কখনও আরণ্যক হয়ে যাও বকুল তলায়,
দুপুরে নূপুর পড়ে মাদল বাজাও-
উদম গতরে আদিম হয়ে যাও উদ্দাম হাওয়ায়!
বর্ষ বরণের আদিখ্যেতায়
বর্ষণ কর পুষ্পাঞ্জলী অরণীর পায়!
অতৃপ্ত উন্মত্ততায় সুতা কাটা ঘুড়ির মত
অদম্য অস্থিরতায় ভাইরাস ছড়াও!


থার্টিফার্ষ্ট নাইট কিংবা বৈশাখ এলেই
অবশিষ্ট মূল্যবোধটুকুও মেলার আড়ালে
বাজিকরের জুয়ার ফাঁদে বিসর্জন দাও!
আমার প্রলাপে কার কি আসে যায়!
তবুও ইচ্ছে করে, শান্ত সুনিবিড় সবুজ রঙটুকু
মায়ের মমতা দিয়ে সযত্নে আগলে রাখি।
যেন ভ্রষ্টা হাওয়ায় ফিকে হয়ে
শুকনো পাতার মত ঝরে না যায়!


আমার স্বপ্ন ছিল একটা সোনাালী দেশের;
কিন্তু এখন ধোঁয়াশার মাঝে
আবারো উঁকি দেয় বিপন্ন বিরাণ ভূমি!
যেখানে বিশুদ্ধ কবিরা আবারো হোঁচট খায়!
যদিও মুক্তির বাড়ন্ত ইচ্ছেগুলো
খাদের কিনারে এখনো অনির্বাণ;  
তবে বিপ্লবের অনিষ্পন্ন স্তরে ঘুরপাক খায়-
শুধু এইটুকু ব্যবধান।