মা!
তুমি আর কেঁদো না!
লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে
তোমার খোকারা আসবে
সবুজ ধান ক্ষেতের আল পথে
নতুন সূর্যের আলো সারা গায়ে মেখে!


তোমার শুভ্র-সফেদ শাড়ীর
মমতা মাখানো আঁচলখানি
বিছিয়ে রেখো স্মৃতি বিজড়িত উঠোন জুড়ে,
কত রাত ঘুমাইনি মা তোমার বুকে!
কতদিন দিই নি চুমো তোমার মায়া ভরা মুখে!


আমি আসবো মা আবার তোমার বুকে,
তোমার দস্যি ছেলে কথা রেখেছে মা;
স্বাধীনতার চেয়ে তোমার সন্তানের লহুর
দাম একেবারেই নগণ্য!


এ জীবন মূল্যহীন স্বাধীনতা বিনে!
তাই যতটুকু ওরা চেয়েছিল-
শরীর নিঙরে সবটুকুই দিয়েছি মা!
যেন দরদামে কিছুতেই হেরে না যাই।


তুমি ভেবো না মা!
আমি তো শেকড়ের সন্ধান পেয়ে গেছি!
সুখের অলিন্দ রেখে রচিবো শান্তিনীড়!
যেথায় রইবে তুমি নিশ্চিন্তে, নিরাপদে!
শির উঁচু করে বিজয়ীর বেশে গাইবে
মুক্তির গান প্রতিটি প্রজন্ম অটুট বিশ্বাসে।


আমার বুলেটবিদ্ধ ঝাঁঝরা শরীরের রক্তটুকু
তোমার আঁচল দিয়ে মুছে দিও মা;
যেমন করে তুমি মুছে দিতে এ দেহের বিন্দু বিন্দু ঘাম!
বিশ্বাস করো মা, আমি একটুও কষ্ট পাই নি
তোমার মিষ্টি মধুর হাসি দেখবো বলে!


অশান্ত মায়ের শীতল বুকে
এবার আমি ঘুমোবো শান্তিনীড়ে।
মুক্ত পতাকাখানি উড়বে পত্ পত্ করে,
স্বাধীন দেশের স্বপ্ন নিয়ে মুক্ত আকাশ জুড়ে।


মা!
লাল-সবুজ পতাকা আর স্বাধীনতা
তোমার কাছে রেখে গেলাম, রেখো সযতনে।
আর আশীর্বাদ করো তোমার সন্তানদেরে,
ওরা যেন হেরে না যায় অশান্তির কাছে!
তবেই আমার আত্মা শান্তি পাবে চিরতরে।