একটি, শুধু একটি কালজয়ী কবিতার
কিছু পংক্তি লিখে যাবার অনেক বড় সাধ ছিল!
কিন্তু, মেধার দৈন্যতা স্বপ্নকে ছুঁয়ে যেতে পারলো না!


সহস্র কবিতা পড়েছি, অজস্র হৃদয়ের ঘ্রাণ শুষেছি,
কত শত মহারথীদের সান্নিধ্য পেয়েছি;
কিন্তু, মানবিকতা আর ভালোবাসার
নির্যাসে আমি আপ্লুত হইনি!


তাইতো, হাজার পৃষ্ঠার ইতিহাস পেরিয়ে
পরশ পাথরের খোঁজ করেছি,
তার পেছনেও উঁকি মেরে মেরে
মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, ঔদার্যের সন্ধান করেছি।
আর ঠিকই একসময় স্বপ্নের মহানায়ক
আমার হৃদয়ের স্পন্দনকে সত্যের দিশা জানিয়ে দিয়েছে।


আমি মুগ্ধ হয়ে, অভিভূত হয়ে আবার আমাতে ফিরেছি;
আমি যা দেখেছি, আমি যা পেয়েছি,
একটা জীবন ধন্য হবার জন্য
এর চেয়ে বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই।


আমার মেধার দৈন্যতা আমাকে হতোদ্যম করেছে সত্য;
তবে শ্রেষ্ঠ কবিতা লিখার ঔদ্ধত্ব
আজ আর আমাকে বিচলিত করে না।
কারণ, যে মহাকাব্য আমি পড়ে এসেছি,
আমার অনুভূতি শ্রেষ্ঠত্বের যে স্বাদ পেয়েছে,
তার উপর শ্রেষ্ঠ বলে কিছু থাকার কোন অবকাশ নেই।


আজ আমি শান্ত, আজ আমি পরিতৃপ্ত।
আজ আমি ধন্য সেই মহামানবের
জীবনাচারের নির্যাস পান করে।


হে আল্লাহ্,
সেই মহামানব, সেই মহানবীর প্রতিটি পদাঙ্ক
অনুসরণের শক্তি, সাহস আর উদারতা আমাকে দাও;
ঈমানের সংকীর্ণতা দূর করে পূর্ণতা দাও।
আমি যেন আলোর ফোয়ারা থেকে বিচ্যুত না হই।
আমিন। আমিন। ছুম্মা আমিন।