মুক্তির সম্ভাবনাই স্বপ্নের সিঁড়ি হয়ে জীবনকে পল্লবিত করে;
তাইতো জীবনে প্রেম আসে, ছন্দ পায় বেঁচে থাকার আনন্দ।
মৃত নগরীতেও জন্ম নেয় পুষ্প কানন হৃদয়ে সৌরভ ছড়িয়ে,
কল্পনার-আল্পনাগুলো রংধনুর মত মুগ্ধ করে স্বর্গীয় আবেশে।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে সময় এগিয়ে যায় সুখের সন্ধানে
কবির কলম দুর্বার গতি পায় ভালোবাসার নেশায় ভুলাতে।


প্রেমীর সময় কাটে স্বচ্ছ নীলাকাশে স্নিগ্ধ পূর্ণিমার প্রতীক্ষায়;
নির্জন প্রত্যুষে কি এক মধুর নেশা নিয়ে যায় বকুলতলায়,
নগ্নপদে শিশিরভেজা ঘাসে পল্লীবধু শুষে নেয় শান্তির নির্যাস,
ভাটিয়ালি সুরে মাঝিরা গান গেয়ে খুঁজে পায় সপ্নিল আবাস।
কখনো রাজ্যের ভালোলাগা এসে কুর্ণিশ করে আপন প্রভায়
তাইতো উদারতা এখনো নিভৃতে পাখনা মেলে মানব সেবায়।


এখনো নজর কাড়ে পল্লীগাঁয়ে জোনাকির প্রশান্ত আলোকমালা
নিঃসঙ্গ রজনীতে ঝিঁ ঝিঁ পোকা সঙ্গ দেয় ঘুচিয়ে মনের জ্বালা
ক্রান্তিকালেও জীবনের সংজ্ঞা নিয়ে চলে বিতর্ক নির্ঘুম রাতে
নতুন প্রাণের উজ্জীবনে সৃষ্টি হয় উদ্দীপনা দীপ্তিমান প্রভাতে।
শিহরণ জাগে সজীব প্রাণে কি এক উন্মাদনায় হৃদয় গভীরে
বেঁচে থাকে মুক্তির সম্ভাবনা জীর্ণতা মাড়িয়ে প্রতিটি প্রহরে।