অহমের অবশেষ বিবর্ণ হয়ে গেল বিষন্ন দুপুরে!
বিগত হয়েছে সোনালী অতীত, স্মৃতির পাথারে!
দিঘিটা ভরেছে অঢেল জঞ্জালে! বেড়েছে বিবাদ;
আহারে! আগের মত পদ্মফুলের হয় না আবাদ!


দৃষ্টি থমকে গেছে অনাদরে-অবহেলে রুষ্ট সীমান্তে
বসে আছি নেই খেয়া, নেই মাঝি জলহীন প্রান্তে!
এক বুক আশা ছিল, উড়ে যাবো সুনীল আকাশে
মুক্ত প্রান্তরে শীতল করবে দেহ, দখিনা বাতাসে।


প্রলাপ বকছি বলে দাও অপবাদ! মারো আঘাতে!
ফোটে না আগের মত সূর্যমুখীরা নবীন প্রভাতে!
বেদনায় ভরে মন, পন্ড জীবন! স্বপ্নরা অকারণ!
তবে কি বৃথা গেল, শহীদ স্বজনের অকাল মরণ!


কেউ আর নেই অবশেষ, মাথা তুলে দাঁড়াবার!
জননী আগেই গেছে, কেউ নেই সান্ত্বনা দেবার!
জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে আর বুঝি জ্বলবে না দীপ
কালের আবর্তে তবে হারাবে কি সাধের বদ্বীপ!


কথার ফুলঝুরি উপহার দাও তুমি বেদনামাখা!
মনের মাঝে ছিল, বর্ণিল মুক্তির আল্পনা আঁকা,
আহা! আগের মতই পড়ে আছি, অবুঝ-বোকা
এ বুকে ধারণ করে স্পর্ধিত লালসবুজ পতাকা!