কচি কচি ঘাস পদাঘাতে মরে
লাশের মিছিলে যায়,
স্বপ্ন হন্তার পদ ভারে কাঁপে,
নির্জীব বসুধায়!


কলঙ্ক শিখরে কার কালো ছায়া
মানবতা করে খুন!
বিনাশী বন্যা করে যায় গ্রাস
আগামীর কত ভ্রুণ!


অবাক পান্থ অপলক চোখে
দেখে কাঁপে মহাযজ্ঞ!
বিধাতার কাছে জিজ্ঞাসা রাখে
শিশুদের এ কি ভাগ্য?


জননীর ভাষা রুদ্ধ আজিকে
বুকের গভীরে কান্না,
রঙ্গিলা তবু ছড়ায় আকাশে
দীপিত হাসির বর্ণা !


আমি দহনে দলনে বিলোপন
হতে চাই না,
রুখে দাঁড়াবার শক্তি-সাহসে
বলিয়ান্ হতে চাই।


মৃত্যুকে জানি অনিবার্য তাই
ভয়কেই করি ক্ষয়,
শেকড়কে ধরবো শক্ত করিয়া
মানবতার চাই জয়।


শুনে রাখ ওগো বসুধা আমার
বিমূর্ত উচ্চারণ,
সুখী হতে চাই সবাইকে নিয়ে
না মেনে আস্ফালন।


আমি রুদ্র মূর্তি ধারণ করিব
সত্যের আহবানে,
জীবনের গান গেয়ে যাব সদা
মুক্তির প্রয়োজনে।


লিখে যাব সেই সাহসী কলাম
নিপীড়িতদের তরে,
অসুরের কাছে মানব না হার
রইবো না নত শিরে।