বান্দা যদি  বিনিদ্র্র রজনী ইবাদত করে খুঁজে পায় সম্মানিত রাত,
তবেই পাবে মহা সে পুরস্কার, আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত;
আপন রবের ভালোবাসায় হবে সে উদ্বেলিত, পাবে অফুরন্ত আনন্দ
সিক্ত হবে বিনম্র হৃদয়, মিলবে ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাত।


এ যেন দীর্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার সুনির্মল আনন্দ;
তাই, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রব বান্দাদের আরও আপন করে নেন,
মহান আল্লাহতা’লার সন্তুষ্টির জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে
রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের একটি মহৎ গুণ।


সূরা ফুরকানের চৌষট্টি আয়াতে বান্দাদের কথা  আল্লাহ্ বলেন,“তারা
রাত্রিযাপন করে রবের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িযে থেকে”
সূরা সিজদার ষোল-সতেরো আয়াতে বলেন,“তারা দান করে গজবের
ভয় ও রহমতের আশে, জানেনা কি পুরস্কার, প্রভূ যা গোপন রাখে”


নবীজি (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের বরকত থকে বঞ্চিত
সে হাজারো কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত।” তাই ধর্মপ্রাণ মোমিনগণ
পবিত্র রমজানের শেষ দশদিন অধিক কল্যাণের আশায় ইতিকাফ করেন,
যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বয়ং করেছেন, যেন সবে করতে অনুপ্রাণিত হন।