রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু আমাকে বলিল ডেকে
খোকা, বাড়ি ফিরে যা, সালাম করে আয় মাকে।
তোকে নিয়ে আমি পাড়ি দিব আজ কৃষ্ণচুড়ার মাঠ;
গ্রাম থেকে গ্রামে বলে আসি চল ভেঙ্গে দিতে পথ-ঘাট।


যাবি না আমার সাথে? হাতে দিল এক গজারী বনের কাঠ;
গায়ে দিয়ে দিল মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের শার্ট।
কি যে এক যাদু খেলে গেল মনে এল নব জাগরণ,
প্রচন্ড আবেগে শক্তি সাহসে অভাবিত শিহরণ!


হঠাৎ কি হ’লো, সব এলো মেলো, চারিদিকে চিৎকার!
শিয়রে দানব দন্ডায়মান বিদ্রোহ নেভাতে করিতেছে ফুৎকার!
সম্বিত ফিরে দেখি চারি ধারে বঙ্গবন্ধু নাই!
হত-বিহবল কোথা গেল দল কে কোথা খুঁজে সবাই!


ঢেকে গেল ঢাকা শিমুল পলাশে অলি-গলি রাজপথ,
কারা কি করবে, কে কোথায় যাবে, নেই কোন অভিমত!
রাজার বাগ আর ঢাকা পিলখানা হয়ে গেল প্রাণহীন!
তবে কি সবাই বেঘোরে মরবে! জাতি কি শিকড়হীন?


আচমকা দমকা হানিল আঘাত সরিল একটু মেঘ
আশার আলো উঁকি দিল হেসে বেড়ে গেল যেন বেগ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হয়ে করে দিল সাবধান!
না মারিয়া মরা চলবে না আর জেনে নাও ফরমান।


মেজর জিয়ার কন্ঠে ঝরলো অগ্নিবীণার বাণ,
নব উদ্যোমে  জাগিয়া উঠিল বাঙালী জাতির প্রাণ।
বঙ্গবন্ধুর খোকারা তখন থাকলো না আর খোকা;
যুদ্ধ করিয়া ছিনিয়া আনিল বাংলার স্বাধীনতা!