এই সমাজ, এই সংসার ধরণীতল,
বংশানুক্রমে সজ্জিত হয়েছে ফুলে-ফলে পর্যায়ক্রমে।
আজকের এই সভ্যতা এক দিনে এই খানে এসে দাঁড়ায়নি,
এই বসুন্ধরা উর্বশী রমণীর মত
এই মাটি যৌবনবতী কিষানীর মত
যেখানে কিষান দিন মাস বছর ভরে কর্ষণ করে,
নিড়ানি দেয়, আগাছা পরিস্কার করে, ভালবাসে হৃদয় দিয়ে
যত্ন সহকারে মনের আনন্দে কর্ষণ করে করে বীজ বুনে যায়
জমিন ও হেসে ওঠে কিষানীর মত।


দিনে দিনে আবাদী হয়ে যায়, পড়শীরা দেখে দু'চোখ মেলে,
চারাগাছ কেমন করে বেড়ে উঠে দোল খায় মাতাল হাওয়ায়;
ভরা যৌবনের লক্ষণগুলো ফুটে উঠে একে একে।
কিষানের হৃদয় উথলে ওঠে, নতুন আশায় বুক বাধে,
সোনা ফলবে, জীবনের সাধ পূরণ হবে,
সার্থক এক কিষান মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সবার মাঝে।
কিষান স্বপ্ন দেখে অনাগত ভবিষ্যৎ কে সাজাবার আকাঙ্খা নিয়ে,
ধানের ছড়া গুলো দিনে দিনে পরিপুষ্ট হয়
আস্তে আস্তে সোনালী রূপে রূপান্তরিত হয়;
যখন সোনালী ধানের শীষে শিশির বিন্দু গুলো চিক্ চিক্ করে
তখন পোয়াতী কিষানীর চোখের আনন্দাশ্রুর মত লাগে।


এ এক ভিন্ন স্বাদের অনুভূতি, এ এক গর্বিত জীবনের অহংবোধ;
এখানে দ্বিধা বা শরমের কোন কাতরতা নেই
আছে বিজয়ের আনন্দ- যে আনন্দকে
বিজয়ের মুকুট বানাবার অপেক্ষায় থাকে
নির্মল সুঠাম দেহের প্রতিটি কিষান
আবেদনময়ী-যৌবনবতী প্রতিটি কিষানী।
এ যেন জীবনের লালিত সকল স্বপ্নের সেরা স্বপ্ন;
কিষান যখন সোনালী ফসল কে গোলায় তোলে
মনে হয় চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে
সবাইকে জানান দেয় নতুন বংশধর
কিষান-কিষানীর ভালবাসার ফসল।।