শত সহস্র বছরের ব্যবধানে শুনেছি,
কবিতা আগামীর সম্ভাবনার কথা বলে!
শব্দের শৈল্পিক বিন্যাস কবিতাকে করে কাব্যময়;
ঝরে যদি পড়ে আবেগ, তবে হৃদয় করে জয়।
তাই তো বসে আছো ভেবে, তুমি স্রষ্টা!
তির্যক বাণে বিদ্ধ করে তাই অহম ছড়াও!
মরণশীল ভুলে গিয়ে মৃত্যুহীন ক্ষমতা চাও,
অথচ, আশা আর স্বপ্নের মাঝের যোগসুত্রটা
খুঁজতে খুঁজতেই দেখা হয়ে যায় গোধূলির সাথে!
মেঘের উপরের আকাশ ছুঁয়ে দেখার বড় সাধ!
ভাবো, কলমের ছোঁয়ায় ফুটবে স্বপ্নের গোলাপ।
অগোচরে মোহ বলে, আলতো করে ছুঁয়ে দিলে
তুমি হবে মহাকবি, হবে জীবন জগতের শ্রেষ্ঠ!
কোথা ছিলে কোথা যাবে, সবই রহস্যে ঘেরা;
ঈমানের পরিমাপ নিয়ে চলে দোদুল্যমানতা!
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোটানায় হেরে যাবার ভয়ে
সমঝোতা করে খেলো হার জিতের খেলা!!
আসলে সৃষ্টির আনন্দ নিয়ে বসে আছেন পড়শী;
হৃদয়ের অলিন্দে বিশ্বাস রেখে নির্দ্বিধায় বলা যায়,
সৃষ্টির নিরঙ্কুশ অহঙ্কার কেবল তাঁকেই মানায়;
যাকে ভালবেসে নিজেকে সপে দিয়ে তৃপ্তি হয়,
সত্য উচ্চারণে বিশ্বাসীরা সর্বদা নির্ভীক হয়ে যায়।