তখনো অনেক বাকি রাত হতে ভোর
শেয়ালের হাঁক ছাড়া নেই কোন শোর,
পৌঁছে গেছি শ্মশানের বেশ কাছাকাছি
জোনাকিরা দল বেঁধে খেলে কাঁনামাছি।


জমাট বাঁধা অন্ধকার, অমানিশা রাত;
বাঁক ঘুরে শুনি কেউ করিতেছে বাত!
রোমকুপ দিয়ে ঝরিতেছে দরাদর ঘাম
মনে মনে জপছি ভয়ে আল্লাহ্’র নাম!


দেখতে পাই না কিছু শুনিতেছি কথা
গাছের আড়ালে গিয়ে লুকিয়েছি মাথা,
বলিতেছে কেউ যেন, পড়লাম বিপদে
সাথীগণ চলে গেছে কি করি নিশীথে!


বলছে নত সুরে, শুনুন ডাক্তার বাবু;
বিশ্রামে দাঁড়িয়েছিলাম হয়ে খুব কাবু,
চারিদিকে কেউ নেই, যাইব কি করে
ঝাঁকাগুলো তুলে দিন, একটুখানি ধরে।


বলেন বিরক্ত বাবু, কারা সব তোরা
পিছনে আসছে মানুষ, কিছুক্ষণ দাঁড়া,
বলে লাগাম দিল টান পড়িমরি করে
উচ্চকন্ঠে বলে, দিতাম আজ যমঘরে!


নাকি কথা শুণে বুঝেছিল বাবু আগে
হয়তো করবে ক্ষতি, পায় যদি বাগে,
এরা তো মানুষ নয় হবে অন্য কিছু
ভয়েভয়ে দেখে বাবু নিল নাকি পিছু।


বেকুবের মতই আমি রয়েছি দাঁড়িয়ে
জোর-বল কিছু নেই আমার দু’পায়ে!
বলছে, বেঁচে গেল, ঘোড়া ছিল বলে
মনে হলো মুহুর্তেই, গেলো ওরা চলে!