আমি বলতে চাই, আমায় বলতে দাও।
আমি বলবো আজ কবিতায় কিছু কথা,
তোমরা শুনবে তো,
রোজ রোজ বসে লিখি,
আমি কবিতার পান্ডুলিপি।
সাদা পাতা গুলো একে একে
ভরে ওঠে মোর লেখনীতে,
কলমের কালি নিঃশেষ হয়ে যায়,
রদবদল হয় খাতারপাতা ও কলমের।
কতো লিখেছি মনের কথা,
ভালোবাসার কথা,দুঃখের কথা,
মানঅভিমান, সমালোচনা,
আত্মসমালোচনা,শোষণ,
লাঞ্ছনা-বঞ্চনা,হাহাকার,
চিৎকার। লিখতে লিখতে
চোখের জলে পাতা ভিজে,
আবছা ছাপ রেখে অচিরেই
আবার শুকিয়ে যায়।
কিন্তু, কেউ শুনেনি কোনদিন।
কেউ শুনে না।
যখন মেঘ বিহীন বৈশাখের খড়দুপুরে
তৃষ্ণার্ত চাতকী প্রায়,
জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে অলস দুপুরে ক্লান্ত,
বরষার দিনভর রিমঝিম বৃষ্টিতে
একা একেলা কাজহীন বিষন্ন ঘরে,
শরতের হীমেল পরশে কাশফুলের দোলা,
হেমন্তের নবান্নের ঘ্রাণ,
শীতের করাল থাবা।
বসন্তের রকমারি আবিরের রং,
শিমুল, অশোক, কৃষ্ণচূড়ার হাতছানি,
কালবৈশাখীর ঝড়ের ঝাপটা,
কোকিলের স্বর ভাঙ্গা কুহুধ্বনী,
ফুলেফুলে ভেসে বেড়ানো
প্রজাপতির রঙ্গিন পাখা,
মধূ আহরণে মৌমাছির গুঞ্জন,
আরো কতো কথাকলি,
আমার ভালো লাগার গল্প,
আমি বলতে চাই,
তোমরা শুনলে তো!
আবারো আসরে আমায় ডাকবে তো?



রচনাকাল :-
২১-০৩-২০১৮ ইং
৬ চৈত্র,  ১৪২৪ বাংলা।
ধর্মনগর;উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।