বর্ষা মেয়ের জ্বর উঠেছে
বদ্যি ডেকে আন।
কদিন আগেই ভিজলো ভীষণ,
ভেঙ্গে নদীর বান।


বাড়ী ডুবলো গাড়ী ডুবলো
ডুবলো ধানের গোলা।
পুকুর ডুবলো জমিন ডুবলো
বর্ষা করলো খেলা।


বর্ষা কন্যা মজলো জলে
সারা ও দিন রাত।
জলে ভিজে কদিন ধরে
গাঁয়ে নামলো বাত।


ডাক্তার বাবু হলো কাবু
বর্ষা রাণীর তরে।
বর্ষা মেয়ে শুকিয়ে গেলো
কয় দিনেরই জ্বরে।


হায়রে কি করি উপায়
বদ্যি ডেকে আন।
যতো লাগে অর্ঘ্য দেবো
যতো চায় ধান।


বদ্যি এসে চশমা এঁটে
ধরলো বর্ষার নাড়ী।
দূরাআরোগ্য ব্যাধি বর্ষার
যাবে কী আর ছাড়ি।


ঝাঁটা দিয়ে ঝাড় ফুঁক
মন্ত্র তন্ত্র গলে।
ঠান্ডা নয় ভিজাও তারে
গরম গরম জলে।


সূর্যি মামায় ডেকে বলো
প্রখর রশ্মি ঢালো।
অধিক তাপে বর্ষা পাখী
তুরন্ত হবে ভালো।


সূর্যি মামা প্রাণে পণে
ঢালছে যতো কিরণ।
প্রাণ বায়ু যাচ্ছে উড়ে
মোদের তরে মরণ।
     ------



১৯-০৭-২০১৮ ইং ;
২ শ্রাবণ  ;  ১৪২৫ বাং ;
ধর্মনগর ;উত্তর ত্রিপুরা
ভারত।