ঘুম তুমি কোথায়! এই না তোমার একদন্ড
দাঁড়াবার ফুরসত নেই, আমাকে ব্যতিব্যস্ত
করে তুলছিলে। আমি চেয়েছিলেম পড়তে,
এতো শীতেও তোমার ভয়ে বিছানা ত্যাগ
করেছি শুধু মাত্র তোমাকে খুশি রাখতে।


তুমি খুশী হলে কৈ! হানাদারের মতো তুমি
টেবিলেও দিলে হানা।আমি ঘুমে লুটোপুটি
খাচ্ছিলাম টেবিলেই কতক্ষণ ; ওরা বলে
আমি নাকি মাছ ধরছিলাম বড়শি দিয়ে,
বেশ বড় বড় মাছ।রুই, কাতলা,ইলিশ।


ইশ্ মশারা অনেকক্ষণ ঘুমপাড়ানি গান
শুনিয়ে নিজের মনেকরে প্রয়োজনীয়
বকশিশ নিয়েই ছাড়লো।দুহাতের ডানা,
কপালে তার প্রমাণ ছিহ্ন রেখে গেলো,
ওরা কতো হুশিয়ার নিজেদের সংস্কারে।


পাছে আমার গরমে ঘুমের ব্যাঘাত হয়,
তাই তো শীতদেবী জোরে জোরে তাঁর
চামর দোলাচ্ছিলো,আমি জমে প্রায়
হিম হয়ে গেছি। টেবিলের শক্ত কাঠে
ঘাড়েমাথায় ব্যথা টনটন করছে ভীষণ।


তোমার সাথে আড়ি দিতে আমি পুরানো
এ্যালবাম'র পাতা উল্টেপাল্টে দেখছিলাম,
তুমিও মগ্নহয়ে গেলে আমার সাথে,প্রতিটি
ছবি ঘিরে কতো কথা,কতো স্মৃতি জড়ো
হয়ে আছে।শুধু দেখেই গেলাম দুজনায়।


একি ঘুম! তোমার চোখে জল,হারিয়ে
গেলে কোন অচেনার দেশে।যাও, যাও
না চলে।আমায় ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে।সত্যি
এবার আমি ঘুমোতে চাই। আর আড়ি
নেই তোমার সাথে, এসো বন্ধু এসো।


কতো রাত কাটিয়েছি বিনিদ্র, কতো শত
ভেড়ার পাল গুনেছি আর,আর তোমায়
আহ্বান করেছি,আমি মোহে সব ভুলে
গেছি, এই পুরানো এ্যালবামে সবকিছু
রাখা আছে। সব,সব,এসো বন্ধু এসো।


আমার ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি আজ
বয়সের ভারে নূহ্য।এখন আমায় ঘুম
পাড়াবে কি!ওদের চোখেই ঘুম নেই ।
এখন আমি যাবো তোমায় সাথে নিয়ে,
সময়ে সব বদলায়,চলো যাই,ঘুম পাড়াই।


রচনাকাল :-
৩১-০১-২০১৮ ইং
১৭ মাঘ, ১৪২৪ বাংলা।
ধর্মনগর;উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।