আমার বাল্য সখী,
যমুনা।
নদীজাত  নাম।
জীবনটাও মিলিয়ে দিলো নদীর সাথে।
বহেই চলছে,বহেই চলছে,
সংসারের খড়-কুটো একটানা।
অথচ নিজের সংসার পাতা,
ঘর বাঁধা আর হলো না।


বিয়েটা হতে হতেও চুরমার হয়ে গেলো।
বহু বছরের পুরাতন প্রেম,
কি করে যে শেষ হলো,
তা যমুনাও বলতে পারে না।


ভালোবাসতো সে পাগলের মতো।
বিয়েটা সে করে নিতে চাইছিল,
একটু তাড়া ও ছিল।
পাত্র কেমন যেন দূরত্ব বাড়িয়ে
সময়ের পর সময় নিচ্ছিল।


যমুনার কানে বার্তা এলো পাত্র নাকি
বিয়ের যোগ্যা পাত্রী খুঁজছে।


মাথায় কাজ করছিলো না তখন।
পায়ের নিচের জমিনটা যেন
কোথাও উধাও হয়ে গেল।


যমুনা সেদিন বিকেলের শেষ
আলোর আভা গায়ে মেখে
এক বুক আশা নিয়ে চলে গেলো
ভালোবাসার প্রাসাদে আশ্রয়ের খোঁজে।


সেই যাওয়াটাই যমুনার অগস্ত্য যাত্রা।
তার কপাল পুড়লো,
জীবন কলঙ্কিত হলো।
সে আশ্রয়ই তাকে নিরাশ্রয়ে ঠেলে দিলো।


ওর ভালোবাসা খবর শুনেও
সেদিন আর বাড়ী ফিরে নি,
বাপ-মা, যমুনার আত্মীয়
পাড়াপড়শি ডেকে বিচার বসালো।
যমুনার ছোট ভাই বড় মাপের মানুষ যে,
লজ্জ্বায় টানতে টানতে
ওকে বাড়ী নিয়ে গেলো...


পাত্র অন্যত্র সাত পাকে বাঁধা পড়লো।
আর যমুনা চিরকুমারী রয়ে গেলো।


          *****