যে কাঁকড়ি যৌবনে ছিলো
উদ্দাম, মদমত্তা চঞ্চলা।
আষাঢ় শ্রাবণ দু-মাস তার বসন্ত।
যৌবন আর বসন্তের দাপটে
কাঁকড়ি ছিলো ভীষণা,
ভয়ঙ্করী, প্রলয়ঙ্করী।
নিজ গতি পথের কঠিন বাঁধাও
খড় কুটোর মতো বয়ে নিয়েছে
আপন দেহের জৌলুষে।
মিটিয়ে নিতো আপনার
জাগতিক পাশবিক লালসা।
কতো রমণ রমণীর চেখের জলে
পিচ্ছল ছিলো কাকড়ির চলার পথ।
সে পথে বিজয় উল্লাসে ছিলো
আরো অদম্য, অনন্ত,অনাদি,
দুর্বার পিপাসায় মাতোয়ারা।
আজ কাঁকড়ির দেহে বার্ধক্যের ভার ।
দেহে ন্যাসের শক্তি হ্রাস।
চলার গতি ম্লান, নিস্তরঙ্গ, নিস্তেজ ।
শহরের নিষ্প্রয়োজনীয় আবর্জনা
বইতে বইতে নিজ পরিসর সংকুচিত।
কাঁকড়ি আজ আড়ষ্ট, ধুকছে
অহর্নিশি অভিশপ্ত  আর
বয়সের করাল ঘাতে।



বি:দ্র: = কাকড়ি- একটি ছোট নদী।



রচনাকাল :-
২৩-০৩-২০১৮ ইং
৮ চৈত্র,  ১৪২৪ বাংলা।
ধর্মনগর;উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।