শুভ বার্তাবহন বহন করে এলো
ছোট্ট সেলফোন।
কোন সুদূরে তুমি প্রসব আনন্দে
ঠুটের কোনে  মুচকি হাসি ভরা
ব্যথিনী মাতা প্রহর গুনেছ ক্ষণে ক্ষণে।
ডাক্তার ভগবানচন্দ্র কখন
তোমাকে কৃপা করবে।
অপারেশন থিয়েটারে তোমার প্রবেশ।
স্টেচারে শুয়ে না জানি কি ভেবেছিলে।
কার মুখাবয়ব ভেসে এলো তোমার
কালো মায়াবী চোখে।
স্নেহময়ী জননী তুমি ।
জনকের ঠিকানা চৌকাঠ পর্যন্ত।
বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা আর অপেক্ষা,
আর কোনো ইয়ত্তা নাই।
সিজার কক্ষে বড় বড় আলোক বাতিতে
জননী মুখ উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে।
চকচকানো অসংখ্য হাতিয়ার।
যুদ্ধ শুরু , দেহকাটা, রক্ত ক্ষরণ...
যুদ্ধ,  সৃষ্টির যুদ্ধ।
প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই।
বিজ্ঞানের অপার মহিমা ।
লড়াই লড়াই লড়াই..
হাতিয়ারের শব্দের ধ্বনি ক্ষণেক্ষণে
আবছা আবছা ভাসা ভাসা কিছু কথা...
গুরুগম্ভীর মুহূর্ত ভেদ করে এল
আর্তনাদ, নবজাতকের কান্নার রব।
যুদ্ধ শেষ,লড়াই শেষ, জয়ী মাতা।
হুলুধ্বনি দাও,শঙ্খ বাজাও,
ঘরে ঘরে মিষ্টি বিলাও।
লক্ষ্মী এলো ঘরে।