স্নেহের বাবা,ম্যাসেজে তুমি আমার আদর নিও।
ইউনিভারসিটির ছুটিতে ৩১ দিনের জন্য বাড়িতে
এলে,আর আজ চলে যাচ্ছ তুমার নিজকর্মস্থলে।
তুমি আসার আগে মঞ্জুকে নিয়ে আমি অনেক
প্লেন করেছিলাম। কি কি রান্না করে তোমাকে
খাওয়াব। কিন্তু মামার বাড়ি যাওয়া,বন্ধু-আত্মীয় বাড়ি নিমন্ত্রণ খাওয়া,মাঝে পৌষসংক্রান্তি, ২৩শে
জানুয়ারি, সরস্বতীপূজা, আধারকার্ড পুনঃনির্মাণ
তোমার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, ইত্যাদি কারণে
খাওয়া এবং বেড়ানোতে অল্প বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল।সব ছকে বাঁধা স্বত্বেও দিনের সঙ্গে মিলাতে পারলাম কৈ।দিনগুলো দ্রুত দৌড়ে চলে গেল।


আজ ষাট কিলোমিটার পথ ট্রেনে,অটোতে চড়ে
এলাম তোমায় এয়ারপোর্টে ছাড়তে।তুমি টাটা
দিয়ে ভিতরে চলে গেলে।গার্ড আমায় ঢুকতে
দিলো না।এয়ারপোর্টের বাইরে বসে বসে শুধু
ঘড়ি দেখছি আর কল্পনা করছি ভিতরে তুমি
লাগিস এক্সরে, গেইট পাশ টিকিট কালেক্ট আর
কি কি করছো। যখন তোমার বিমান উড়ার সময়
হলো আমি বাইরে দাঁড়িয়ে সুদূর আকাশের দিকে
তাকিয়ে রইলাম, তোমায় টাটা দিলায় কিন্তু তুমি
তা দেখতে পেলেনা।বোঝতে পারলাম না কখন
আমার দুগাল বেয়ে চোখেরজল চলে আসলো।
কতক্ষণ ছিলাম জানি না,বেশ দেরি হয়ে গেছে,
আর দেরি হলে বাড়ি ফেরারট্রেন ছুটেযেতে পারে
আমার,চোখেরজল মুছে একটা অটো ডেকে
রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে, জানি আমি শূন্য
ঘরে পৌঁছানোর অনেক আগেই তুমি চলে যাবে
তোমার গন্তব্যে।ত্রিপুরা আর চেন্নাইর আবহাওয়া এক নয়। ভালো থেকো,সাবধানে থেকো বাবা।


রচনাকাল :-
২৬-০১-২০১৮ ইং
১২ মাঘ, ১৪২৪ বাংলা।
ধর্মনগর;উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।