মনে পড়ে কি তোমার,
মেরিনার নোনা জলে
একদিন নেমেছিলেম
দোহে। তপ্ত ঝরঝরে,
বড়বড় ;বালুকার দানায়-
লেপটে যাওয়া পায়ের চটি
হাতে করে,নগ্নপায়ে পায়েরচিহ্ন
ফেলে, ভুট্টার দানা চিবাতে
চিবাতে সন্তর্পণে সোজা
দাঁড়ালাম নোনাজলের
সীমানায়।এক মস্ত মাতাল
ঢেউ দেহের উপর আছড়ে
পড়ে ভিজিয়ে দিল।সৈকতে
অচেনা পরিযায়ী দম্পতি  
হাজারো পরিযায়ীর উষ্ম
আনন্দ উপভোগে ছিলো
মগ্ন। মোদের শুকনো বস্ত্র
অনুরোধে সমর্পণ করে
জাগতিক দেশকালপাত্র
ভুলে নোনাজলের স্বাদ
আস্বাদনে ছিলেম ব্যগ্র।
শতশত মাছরাঙার মতো
কতক্ষণ লুটো পুটী করেছি
মেরিনার জলে কে জানে।
দিবাকর গেছে অস্তাচলে।
অচেনা পরিযায়ী নীড়ে
ফেরার সময় বহে চলেছে।
ক্ষিপ্ত হলো,ভীষণ ক্ষিপ্ত।  
দায় নিয়েছিল মোদের ওরা
বস্ত্র সম্বরণের।অসহায়ের মতো
শুনেছি কর্কশ বানী। নিরুত্তর
ছিলাম।আরো,আরো আরো
টানছে সাগরের নোনাজলে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তটের
নির্জনে করেছি বস্ত্রের
পরিবর্তন। শীতল বাতাসে
ওরনি ওড়ায়ে তোমার হাত
ধরে গুটি গুটি পায়ে আবার
চলে এলেম গৃহাভিমুখে।


   ০৮-১০-২০১৭ ইং ;
   ২১ ই আশ্বিন ;  ১৪২৪ বাং ;
   ধর্মনগর ;উত্তর ত্রিপুরা
   ভারত।