আমার বুকের রক্তে
অকাল হোলি খেললি
যারা;তোরা নর পিশাচ,
করেছিস পৈশাচিক
অত্যাচার। একা রনে
পরাজিত করলি মোরে।
না ছিল সাথী, না অস্ত্র,
নিরস্ত্র ছিলাম আমি।
আমি অস্ত্র চালাতে
জানিনা।আমি শুধু
ক্যামেরা চালাতে জানি।
শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু
নিঃশেষ করে নিলি তোরা।
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম,
দেশের জন্য কিছু কাজ
করতে চেয়েছিলাম। তোরা
দিলি না,আমার কন্ঠ রোধ
করতে প্রাণ টা কেড়ে নিলি।
জীবনের সুখ আহ্লাদ কিছুই
সারা হলো না, শরতের
ঘাসের ডগায় জমে থাকা
জলবিন্দু, অগ্রাহনের
নবাহ্ণের স্বাদ আস্বাদন
আর হলো না,আমি
ভোরের সূর্যদয় আর
রাতের আকাশের তারার
সৌন্দর্য আর দেখতে
পাবো না।দিন অবসানে
ক্লান্ত দেহে ঘরে ফিরে
অপেক্ষারত উৎকন্ঠায় ভরা
মা'র মুখ, কোমল হাতের
উষ্ম আদর আমি আর
খেতে পেলাম না।কেন,কেন
ছিড়ে খেলি মোরে। কোন
অপরাধে।শুন, শুন ওরে
কাপুরুষ এর দল,কান
পেতে শুন,ধ্বনীত হচ্ছে
সে বারতা,আমার দেহের
যতবিন্দূ রক্ত বহালি
এই ধরনীর বুকে,সে
রক্ত দ্রুত সাম্রাজ্য গড়ছে।
দিনে দিনে তৈরী হচ্ছে
লক্ষ লক্ষ 'আমি'।
কয়জনকে ঠেকাবি তোরা,
ঠেকা,ঠেকা, পারিস
যদি ঠেকা।



২৯-০৯-২০১৭ ইং ;
১২ ই আশ্বিন   ;  ১৪২৪ বাং ;
ধর্মনগর ;উত্তর ত্রিপুরা
ভারত।