প্রায়শই মনে হয় খাঁচায় বন্দী রংবাহারি
পাখীদের মতো আমি ও খাঁচায় বন্দি।
প্রকৃতির আপন স্বভাবে মনের খয়ালে
বাতাসের সাথে উড়ে বেড়ানো পাখিদের
শিকারিরা সুকৌশল ধরে এনে পণ্য করে
আভিজাত্য শৌখিন পয়সাওয়ালার হাতে।


বন্দী পাখী দিনরাত ছটপট করে,
খাঁচাওয়ার তাতে কি যায় আসে ।
খাঁচার ভিতর খাওয়ার দানাপানি আর
খাঁচার বাইরে ভালোবাসার মহাসমুদ্র ।
তবু পাখী নিরুপায় বন্দিনী স্বজন হারা।


ঘরে দানাপানি আর বাইরে ভালোবাসার
অভাব আমার তো নেই কোনো কিছুরই।
খাঁচার বাইরে অন্তরালে সুকৌশলী সজনরা
মশলা মাখানো সুস্বাদু রঙ্গ কথা ছড়ায়,
আর রসিকেরা সে রস আহরণে ছুটে বেড়ায় ।
বসন্তের আবিরখেলার ন্যায় কুৎসা রটায়ে;
মনের গোপন কামনা বাসনা মিটিয়ে চলে
বীর সৈনিক এর মতো ধ্বজা উড়ায়ে,
মিথ্যাকে নিয়ে যায় সত্যে, কোনো প্রাণ
রক্ষার বিনিময়ে নয় প্রাণনাশের বিনিময়ে।


প্রতিবাদ জানাই তোমাদের হে কাপুরুষগন,
এখনো সময় আছে সুধরে নাও, ক্ষমা চাও।
আমি বন্দিনী পাখী নই, আমিও মানুষ।
রক্তে মাংসে গড়া তোমাদের মতো মানুষ।