সমাজের সাতকাহনে ভরে গেছে কবিতার খাতা।
প্রতি পাতায় লুপ্তপ্রায় বিবেকের সন্ধানে হাঁপিয়ে
উঠেছে বেচারা কলম আমার।
গনতন্ত্রের ঘুন,ঝরে পড়তে পড়তে খাতার পাতা
গুলো হলদেটে হয়ে গেছে বহুদিন।সেখানে অজস্র
পৃষ্ঠার ভাঁজে-ভাঁজে নিরবে ঘুমিয়ে আছে--
অগনিত গনিকার কান্না,অসঙ্খ নিরন্ন হাহাকার,
পোকার মত কিলবিল করা মেহনতি মানুষের মুখ,
শধু তাদের দু-দন্ডের আনন্দের কথা নেই...!
আজ লিখব,-সারাদিনের ঝরে যাওয়া ঘামের বিনিময়,
যখন মজুরের ছেলের চোখে হাঁসি ফোটে,তার হিসাব।
বেশ্যার সারারাতের নিঝুম মধুচন্দ্রিমারপর,
যখন ভাতের খবর নিয়ে তার সুর্য ওঠে,তার
প্রতিটি কিরনের হিসাব লিখব আজ।
আর,যে নির্বোধ নিরক্ষর মস্তানটা,নেতার কথায়
ছুরি-পিস্তল হাতে গনতন্ত্র বেচে সংসার চালায়,
তার পরিবারের প্রতিটা হাঁসির মুহুর্ত লিখে রাখব আজ।
আজ চোখের জলের গভিরে গিয়ে শুধু আনন্দ খুঁজে যাব,
কারণ..যন্ত্রনা লিখতে লিখতে,আজ ক্লান্ত আমার কলম।