সকালের ব্যস্ততা সেরে,দুটো নাকে-মুখে গুঁজে,
সেজে-গুজে,ঝুলন্ত বাসের ভিড়ে ---
কন্ডাকটার :- কি দাদা আজ দেরি কেন ?
আর দাদা আমি জন্মেছিও বড় দেরিতে,তাই।
চেনা-অচেনা ভিড়ের হাসিতে,ঘুমের ঘোর কাটে,
সত্যি সকালটাও বড় দেরিতে হয়।
দুপুরে সল্টলেকে বুড়ি মাসির চায়ের দোকানে--
মাসি,লাল চা হবে নাকি ?নাগো জল ঠান্ডা..।
তাহলে মাসি জলের সাথে গ্যাসের ওষুধও দিও...
মাসির গুটকা চেবানো লালচে দাঁতের হাসিতে-
ঘর্মাক্ত ক্লান্ত দুফুর বিকেলের পথে পা-বাড়ায়।
তারপর সন্ধ্যা নামে,পিচের তপ্ত রাস্তা ঘামে,
সঙ্গে ঘামে কুলি-মজুর,স্টপেজে বাস থামে,
মানুষ ঘরের পথে,পায়ে হেঁটে বা মোটোর-রথে।
আমি ফিরি খাদের কিনারায় দাঁড়ানো - চম্পা,
চামেলি,রোজি,সোনালিদের পাশ কাটিয়ে,গা-বাঁচিয়ে।
হঠাত কেউ হাত ধরে টানলে বলে উঠি--
না-গো দিদি,জানলে মা বকবে...।রংচঙে মেকাপের
নিচে,ছলছলে চোখের আর রং মাখা ঠোঁটের হাসিতে-
হঠাত দেখি, চারিদিক ঝাপসা হয়ে রাত্রি আসে ।
তখন থেকে সকাল অবদি,শুধু আমায় দেখে আয়না হাসে।