কবিতা আজকাল ইস্পাতের চাইতেও শক্ত-কঠিন বস্তুতে পরিণত হইয়াছে।
আর ইহার জন্যই  পাঠক কুল কবিতা পাঠ করা ছাড়িয়া দিয়াছেন। পাথর কামড়াইয়া গিলিয়া হজম করা যাইবে। কিন্তু কবিতা গুলি এমন শক্ত যে ইহা গিলিতে গেলে মাথায় ঠেকিয়া যায়। এত পরিশ্রম করিয়া কাব্য পাঠ করিলে করিবেন হয়তো, কিন্তু ইহাদের পারিশ্রমিক কে দেবে? আর এই পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করিয়াই হয়তো পাঠক বৃন্দ  কবিতার অঙ্গন হইতে দুরে সরিয়া গিয়াছেন।  টাকা দিয়া পাঠক কিনিয়া কবিতা পাঠের আয়োজন করিতে হইবে  দেখেতেছি। কাহারো প্রাণের খোরাক যে সাহিত্য  এ কথা বুঝি বিলুপ্তির পথে  সমাগম হইতেছে। কাব্য পাঠে  সাধুর প্রয়োজন। আর অসভ্যও সভ্য হয় সাধু হয় কাব্যের সান্নিধ্যে থাকিয়া। জগত যেখানে অসাধুর চক্রে বন্ধী, সেখানে সাধু মেলা বড়ই  দুষ্কর। (অসমাপ্ত)