কাজের মাসি না এলে
সে চটপট ক য়ে ক টা বাসন মেজে ফেলে –
রান্না ও করে ফেলে ঝটপট ।
কুটনো কাটা ,মশলা বাটা , বাজার হাট
সবকিছু সামলে নেয় সে –
আমার পছন্দের পস্তুর বড়া থেকে ,
থেকে বেগুনী , তন্দুরি কি না পারে ও।
বাড়ি তে বন্ধু বান্ধবের জমায়েত লেগেই থাকে –
ওর হাতের রান্না খওয়ার জন্য।
ওর কোন অভিযোগ নেই ,
আমার কলেজ বেরবার আগে ,
আমার ব্যাগ টা চেক করে তাতে ফোন রুমাল ভরে দেয় সে –
এমনকি পার্সে খুচরো টাকা আছে কিনা তাও –
সে জানে প্রথম থেকেই আমি খুব ভুলো মনা ।
আমি একটু বেশি চুপচাপ , আর ও ,
যেন সারা পৃথিবীর মানুষের বন্ধু –
সে বন্ধু লিস্টে চাকর বাকর থেকে শুরু করে মাছ ওয়ালা কে যে নেই –
থাক সে কথা –
আজ ভাবছি একটা উপহার দেব –
এমন সময় তার ফোন ,
আজ শপিং মলে যাব , তুমি কলেজের গেটে দাঁড়িও –
আজ তবে কি ওর আমার আগেই ছুটি –
দেখা হতেই একটা ই মেল দেখিয়ে বলল –
অয়ারলেস অপটিক্যাল কমুনিকেসন এর একটা জার্নাল পেপার IEEE  তে বেরিয়েছে –
বিদেশ থেকে একজন কাজ করতে চায় আমার সাথে -
তবে কি এত ভালো চাকরি ছেড়ে বিদেশ যাবে ?
না এখন ভাবছি না -
কত গুলো পেপার হল ব লোতো -
কনফারেন্স পেপার নিয়ে তা প্রায় তেইশ টা হবে -
তবে তোমার কবিতার সংখ্যা থেকে আমার পেপারের সংখ্যা  কম –
তাই তো বলি  তন্দুরি বানায় এত ভাল যে ছেলে সে ফাইভ স্টারে হোটেলে চাকরি নিলেই পারে -
এই তোমার কবিতায় এত বানান ভুল থাকে কেন?
H.S  বাংলায় কত পেয়েছিলে বলোতো -
এই ভালো হছ্ছে না কিন্তু -
তা রাগ করছ বেশ কর ছ
তোমায়  রাগলে তো বেশ সুন্দর দেখায় -
চলো তোমায় একটা শাড়ী কিনে দেই ,
শাড়ীতে তোমায় আরো সুন্দর দেখায় -