পাখি আঁকা পাহাড়ের গ্রামে যখন সূর্য ঢলো ঢলো –
তখন একবার আমায় বল ভালোবাসি –
আজ খোঁপার চুলে বেঁধেছি আমার বিরহ যত ,
চোখের কাজলে রেখেছি আমার দুঃখের দিনগুলি ,
আজ সুখ আমার হাতের চুড়িতে বন্দী
আজ মন আমার এমনই এটেছে ফন্দী –
আজ মনে হয় শুধু ভালোবেসে যাই
যার আছে শুরু কনো শেষ নাই ।
হাজার দহনে পুড়েছে সে প্রেম
হাজার রাত্রি বন্দি কারাগারে ,
বৃষ্টি পায়নি মরু তৃষা বুকে
কান্না ভেজা দুঃখের রাতে
সে প্রেম চোখের জলে করেছে স্নান ।
পায়নি সে প্রেম ফুল বিছানো কৃষ্ণ চূড়া পথ ,
হাজার কাঁটায় রক্তা রক্তি ,তবু সামনে দাঁড়িয়ে স্বর্গের রথ ।
মনে হয় যেন শুধু সব স্বপ্ন নয় ,
হাজার বর্ষ দূরে আমারও আছে ঘর ,
আছে পথ ঘরে ফেরার ।
হাতের মুঠোয় হাতটি রাখার ,
যেন ভাঙ্গতে পারি পাথর ,
যেন হাসতে পারি, ভালবাসতে পারি ,
কঠিন জীবন সংগ্রামে ।
কঠিন দিনের রুক্ষ তাপে আজ আমি পুড়ব না ,
সুনামির জলোচ্ছাসে আজ আমি মরব না ।
ভুমিকম্পের ধ্বংসাবশষের তলায় আর চাপা থাকব না।
আজ আমি রঙ্গিন প্রজাপতি হবো
আমার পাখনায় আঁকা থাকবে নানা রঙের ,স্বপ্ন যত।
কয়লার স্তুপে আমি কখনো খুজিনি হীরে ,
তুমি যা দিয়েছ আমায় সুখ দুঃখ বিরহ ,যাতনা প্রেমে
আজ দিন শেষে তাই দেখি হয়েছে মনি-মানিক্য হীরে ।
কত ঝড় ঝাপটা সামলে নৌকা আমার পৌঁছে গেছে তীরে ।
হাজার বর্ষ রাতের বিরহ মন্থনে অমৃত যে প্রেম-
তা শুধু তোমার আমার –
গরল যেটুকু উঠেছিল সেথা ,
হাসি মুখে মোরা সে বিষও করেছি পান ।
বিষের নীল যন্ত্রনা বুকে হেটেছি কত পথ –
হিসাব রাখিনি তার ।
তবুও রেখেছি হাতে হাত –
মরবার আগে আরো একবার ,
তবুও বেসেছিভালো দুজন দুজনারে ,
যেন জীবনের শেষ প্রেম অথবা প্রথম।