সে তখন গাছের শাখায় শাখায় ,
আম গাছের পাতায় পাতায় ,
লিচু গাছের মাথায় মাথায় ,
লুকিয়ে লুকিয়ে খাচ্ছিল সে
আম জাম লিচু পেড়ে ।
এমন সময় ডাক পড়ে ,
কই গেলিরে পুটু ?
লিচু গাছের পাতা নড়ে ,
আমের আঁটি নিচে পড়ে ,
এ গাছ থেকে ও গাছে কে যায়
সরু সরু ডাল বেয়ে
যেন এ তো নয় মেয়ে ,
মৃদু বাতাস গেল বয়ে –
আবার পড়ে হাঁক ডাক ,
আরে কই গেলিরে পুটু ,
দৌড়ে এসে রান্না ঘরে,
মায়ের কোলে  বসে ,
জড়িয়ে ধরে আদরে ,
দু চার খানা ফুল কো লুচি
নিল হাতে সে তুলে –
মায়ের কথা শোনার আগেই ,
এক ছুটে তে বাড়ির ছাদে ,
এমা এ কোন অচেনা ছেলে ,
লুচির কামড় মুখে নিয়ে ,
ভাবছিল সে মেয়ে –
না পাড়ার ত নয় ,
আত্মীয় নয় , তবে বোধ হয় ,
নতুন ক র্ম চারী
যোগ দিয়েছে কাজে ।
ছেলেটা ব ড্ড বাজে ,
কেন এসেছে ছাদে ?
ছেলেটা তখন দেখছে শুধু
এমন রোদের আকাশ তলায়
এ কোন অজানা ফুল,
সোনার মত গায়ের রঙ
লম্বা লম্বা কোঁকড়ানো চুল –
ততক্ষণে চার খানা লুচি শেষ ,
বলল ছেলে কি নাম তোমার ?
ভীষন রাগে জবাব এল?
টবের ফুলে হাত দিয়েছ কেন ?
এ ভুল কোনদিন আর হয় না যেন –
এই বলে সে গেল নিচে নেমে।
বাড়ীর ছাদে আকাশ তলায়
হাসি মুখে ঠায় দঁরিয়ে ,
যেন হারিয়ে গেল সে –
কনে দেখা হল শুরু ,
নত মুখে ভীষণ রাগে
বারো বছরের মেয়ে ,
সেই ছেলেটা, ছাদের ওপর –
তবে কি এরই সাথে বিয়ে
খেলনা বাটি নিয়ে ।