পুরুষ তুই , মানুষ তুই
তোর প্রেমে নারী নদী হয়ে যায় –
সামনে তুই বিশাল সমুদ্র ।
তোর প্রেমে নারী কখনো ভিখারিনী,
তো কখনো পূজারিণী ।
দেবতা আসন দখল করে তোকেই দেয় দেবতার স্থান –
তুই তো পুরুষ তুই তো মানুষ
তুই তো দেবতা সমান ।
তোর মদের বোতল,মাতাল দেহ
সবটুকু যে বইতে পারে নদীর মত সেইতো নারী ।
তোর প্রচুর অহংকার –
তুই যে পুরুষ খাঁটি সোনা ।
তোর মিথ্যা অহংকারের বোঝা
সঙ্গে থেকে বইতে পারা খুবকি সোজা ।
বন্দী পাখি  –তোর সে খাঁচা –
এক যে প্রেমের অনেক সাজা
তোরি রাজ্য তুই যে রাজা ।
রাজার মাথায় যখন কাটার মুকুট ,
ধুলায় যখন লুটায় সি্ংহাসন -
অভাব যবে তান্ডব নৃত্য নাচে ,
বিপদ যখন তোকে গিলে খায় সর্বনাশের গ্রাসে –
যখন কেউ থাকেনা পাশে ,
তখন তোর পাশে বসে সে নারী  মধুর হাসি হাসে
যেন হয়নি কিছুই এমন টা ভাব ।
তোর সঙ্গে থেকে সে হাসি হাসা খুব কি সোজা?
সেই তো নারী –যে তোর হাজার টা দোষ
সোনায় মুড়ে লুকিয়ে রাখে মনের কোনে।
তবুও তুই ,সুযোগ পেলেই ছোবল মারিস –
হাজার কালি গায়ে লেপিস-
অপমানে তার মন কে পোড়াস
সে পুড়তে পুড়তে ছাই –
তবুও আর কারে নয় তোকেই তার চাই ।
বলতো পুরুষ ,
তোর সব অপরাধ ভুলে গিয়ে
খুব কি সোজা তোর আদরের বউটি সাজা-
বাড়ির রান্না ,বাসন মাজা ?