এমন ভাবে তাকিয়ে থাকে ছেলেটা ,
মেয়েটা যেন একটা খোলা উপন্যাসের পাতা –
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে যেন পড়ে ফেলে
মেয়েটার শরীরের প্রতিটি অক্ষর , প্রতিটি শব্দ
প্রতিটি বাক্য –
সেদিন ছেলেটা তাকিয়ে ছিল  ,
মেয়েটার কোমরের দিকে –
শাড়ীর আঁচলের বাঁকে নাভির অন্ধকারে হারিয়ে গেছিল ছেলেটা -
কাল তাকিয়ে ছিল বুকের ওপর –
বাতাসের জোর ছিল বেশি ,
পাতলা শিফনের ওড়নায় বাতাসের দুই হাত গড়ছিল মেয়েটার বুক –
দেখছিল  ছেলেটা বাতাসের বেহিসাবি স্পর্শ  ,
এরকমই একদিন  পায়ের আঙুলের নেপালিশে আটকে ছিল চোখ ছেলেটার –


না কোনদিন কাছে এসে কথা বলেনি ।
শুধু তাকিয়ে থাকে   দূর থেকে -


বরফের মত ঠান্ডা কনকনে  রাগ জমে  মেয়েটার দু ঠোঁটে -
আজ আবার পুজো মণ্ডপে দেখা ,
না আর সহ্য করবে না মেয়েটা ,
মেয়েটা সরাসরি তাকাল ছেলেটার চোখের দিকে ,
না আজ আর ছেলেটা ওর দিকে দেখছে না ,
ছেলেটা তাকিয়ে আছে মাটির প্রতিমার দুচোখে ,
চোখ সরালো মেয়েটা ,
চমকে উঠল সে –
সেই একই চোখ , একই মুখ একই কোমরএর বাঁক ,
একই নাভিমুল , কোকড়ানো চুল -
কি অপুর্ব দেবী রুপ ,
কে গড়ল এমন?
ছেলেটা দাঁরিয়ে আছে দুরে ,
অদৃশ্য বাতাসের মত ছুয়ে গেল ছেলেটার মাটি মাখা দুই হাত
শরীরের সব বাঁক -
অধিক যত্নে এঁকে দিল চোখের কাজল -
বুকের ওপর রেখেদিল সেদিনের বাতাসে ওড়া আঁচল -
পায়ের আঙ্গুলের বাঁকে যেন হারিয়েছে সে নিজেকে -
কানে দেয় ঝোলা দুল -
আজ তাকিয়ে আছে মেয়েটা ছেলেটার দু চোখে
এক দৃস্টিতে ,
ছেলেটার দু চোখে  সে দেখছে নিজেকেই
এমন করে  কখনো দেখেনি সে নিজেকে আগে ,
সে যেন আজ এক খোলা উপন্য সের পাতা ,
অথবা প্রেমের কবিতা ।