এই পৃথিবীর বুকের উপর  সুখ আমার উপচে পড়ে-
জ্যোৎস্না রাতে আলোর সাথে গা ভেজায় বন পাখীতে ।
অথবা ঘাসের ফুলে সুখ আমার শুধুই দোলে - আলতো হাওয়ায় ।
পায়ে পায়ে একলা পথে –নির্জন এক দীঘির ঘাটে-  
পৌঁছে দেখি , সুখ আমার পদ্ম হয়ে পাঁকের বুকে আছে ফুটে ।
বলছি তোকে চুপি চুপি- কেউ জানেনা ,আমার সুখের একটা নদী আছে,  
সেই  নদীতে আমি ভাসতে জানি, ডুবতে জানি ।
ঝড় আসে যদি আসুক , বান আসে যদি আসুক,
আমি মনের সুখে শক্ত হাতে সুখের নাও বাইতে জানি ।
তবে আরো কিছু বলবো নাকি , শুনবি তবে  ।
আমার সুখের একটা আকাশ ও আছে ,
সুখের একটা পাহাড় ও আছে ।
আছে সুখের বিশাল মরুভুমি ।
মিথ্যে তো নয় ,ভীষণ সত্যি বলছি তোকে ।
আমি সুখের আকাশে উড়তে জানি , ডানা দুটি মেলতে জানি ।
মরুর তাপেও পুড়তে জানি গভীর সুখে-  
আমি সুখে আছড়ে পড়ি  গভীর খাতে পাহাড়ের বক্ষ হতে ঝর্ণা হয়ে-
এইতো সেদিন পথের ধারে
সুখ আমার ঘরহীন এক পথের শিশু-      
ভিখারীর বাটির ওপর রাখে তার আধখানা রুটি ।
কোন এক মেঘলা দিনে, বাদলের বৃষ্টি ধারায় ,
ঘরের এক কোনে বসে , সুখ আমার ঝরছে দেখি তন্বী মেয়ের চোখের জলে ।
সে সুখের ভাগ নিতে চাস, বসে যা একবার তুই পথের ধারে ভিক্ষার পাত্র হাতে,
অথবা আয় ছুটে আয় , খুঁজে নে সেই মেয়েকে –যে তোকে ভালবাসে,
রাখ তোর বক্ষ মাঝে ,  তার সে চোখের জল ।
সুখ আমার পায়ের তলায় –
মাটির উপর বিছিয়ে আছে, এই পৃথিবীর সবুজ ঘাসে,
সুখ আমার হাসছে দেখি মাথার উপর আকাশ ভরা চ্ন্দ্র তারায় ।
যেটুকু নিজের আছে ,বিলাব জগত মাঝে মনের সুখে ।
আমি হাজার দুখে বাঁচতে জানি সুখে।
জীবনের যত  দুঃখ, বেদনা, বিরহ, অভাব , লাঞ্ছনা , বঞ্চনা ,
কে আছিস তোরা আয়,
সুখের পালক গুঁজে দিই আজ তোদের মাথায় ।
জীবনের সবখানে সুখ , এ জীবন বড়ই সুখের,
যদি সুখ দেখতে না পাস ,
তুই যে অন্ধ  বড় , তবে আর বলছি টাকি-  
এ হাতে হাত খানা রাখ ,নিয়ে যাই সুখের দেশে –
দেখি কে আটকে রাখে?
দেখি কার সাহস আছে?
দেখি আজ কার আছে দম ?
প্রতিবাদ করতে জানি, সুখের ঝড় তুলতে জানি এ বৈশাখে।