আমার  ছোট্ট মেয়ে বলল আমায় ,
মা তুমি কবিতায় কেন শব্দ শুধু লেখ –
কবিতার ভেতর কিছু ফুল পাতা তো আঁক ।
অথবা আঁকতে পার সূর্য তারা পাহাড় নদী , না হয় একটা প্রজাপতি-
এই বলে সে ভীষণ রাগে ছিনিয়ে নিল খাতা ।
লিখল কিছু আবোল তাবোল কথা ,
আর আঁকল মেঘ সূর্য কিছু ফুল ও লতা পাতা ।
সবুজ রঙে ভরাল ঘাসের সবুজ পাতা ,  
লাল হলুদে মাখা মাখি ফুলের পাপড়ি যত ,
নীল হল আকাশ , সে নীলের ভেতর উড়ছে সাদা মেঘ ,
তায় আবার একটু কালো মেঘে ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি   ঝরে পড়ে –
আর তার ভিতরে  কিছু অর্থ বিহীন শর্ত বিহীন মনের মত আবোল তাবোল শব্দ তারা ,
কেউ মেখেছে আকাশের নীল  ,
কেউ মেখেছে পাতার সবুজ
কেউ মেখেছে রোদ –
কেউবা ফুলের রঙ –
কেউবা ভেজে বৃষ্টিতে ।
কবিতা লেখা শেষে আদরে জড়িয়ে ধরে  বলল আমায় –
এরকম রঙ দিয়ে লিখো কবিতা –
মনের ভিতরে ভয় পাই,
আমার বিবর্ণ কবিতা পাতাগুলোয় বন্দি শব্দরা যদি আজ রঙ চায় ,
লাল নীল হলুদ সবুজ  গোলাপি –
যদি চায় রোদ,   বৃষ্টি ,খোলা আকাশ  –
আমি যে ব্যর্থ , এই বর্ষায় একবারো ওদের বৃষ্টি ভিজিয়ে দিতে ।