ঘুম থেকে উঠেই , মেজাজ টা বিগড়ে গেল সুদীপের –
আটটা বেজে গেল এখনো এক কাপ চা হাতে পায়নি সে ।
উনি একাবারে চাকরি করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ,
আরে বাবা সবাই যদি চাকরি করবে তাহলে সংসার টা সামলাবে কে?
এ কথা শুনে সুদীপ এর মা সুদীপ এর কাছে এসে মাথায় হাত রেখে বললেন
আজ আবার কাজের বউটাও তো ছুটি নিয়েছে ,
আচ্ছা আজ তো তোরও ছুটি ,
যা রান্না ঘরে গিয়ে চায়ের জল টা চাপিয়ে দে ,
চা খেয়ে ঝটপট বাসন গুলো মেজে ফেল ,
আজ তো আবার মহালয়া , পুরো বাড়িটা ঝুল ঝাড়ু করে জল মোছা করে নিস ,
তারপর স্নান করে নিস ,আর বাথ রুমে রাখা কাপড় গুলো কেচে  ছাদে মেলে দিস ,
ঠাকুর কে জল মিস্টি দিয়ে রান্নাটা চাপিয়ে দে  , মাছ ,ডাল আর সব্জি হলেই চলবে -
বিকেলে বউমার বাপের বাড়ির লোকজন আসবে ,
জলখাবারে লুচি আলুর দম , পায়েস , আর মিষ্টি যেন থাকে –
ও আর একটা আজ আর বউমাকে বিরক্ত করিস না যেন,
রান্নার রেসিপি গুলো ইউ টিউব থেকে দেখে নিস বাবা,
সামনের মাসেই তো ওর তিন তিনটে চাকরির পরীক্ষা –
শুধু চাকরি করলেই তো হবে না বাবা সন্সার সামলানো তো তোকেও শিখতে হবে এখন থেকে -
বিকেলে ডাইনিং টেবিলে
নিজের বানানো চোয়া লুচি ,আধসেদ্ধ পায়েস , অতন্ত নোনন্তা আলুর দম পরিবেশন করল সুদীপ নিজের হাতে  ,
সুদিপের মা বললেন বউমার পরীক্ষা তাই কস্ট করে জামাই এর হাতের রান্নাই খেতে হবে
আজ আপনাদের -
না কেউই খারাপ বলেননি -
বরং প্রশংসা করলেন সুদিপের -
সুদীপ বুঝল জীবন টা শুধু চাকরি বা রান্না বান্না করার জন্য নয় ,
জীবনটা আসলে সমস্ত প্রয়োজনের মধ্যে নিজেকে যোগ্য করে তোলার ।